অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বাবু আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার  

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শনিবার(১৭ জুন) সকাল ৭ টার দিকে পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী এলাকা দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন চিলাহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ।

পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলা ১ নম্বর চিলাহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনাটি আমি জানি। আজ সকাল ৭টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে গেছে। র‌্যাব, সিভিল টিম এবং অনেক পুলিশ এসেছিল৷

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা গণমাধ্যমে বলেন, মাহমুদুল আলম বাবুর বোনের ঠিকানা আমি র‌্যাবকে দিয়েছি। সেখান থেকেই তাকে আটক করে র‌্যাব।  

এদিকে, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইলের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। কেনো তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এ বিষয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অভিযুক্ত মাহমুদুল আলম বাবু চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বহিষ্কারের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে গণমাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম।

উল্লেখ্য, জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার সাধুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বাংলানিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী নাদিম।

গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।