রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিড়ালের র্যাম্প শো
ক্যাম্পাস করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ৩ জুন ২০২৩ শনিবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিড়ালের র্যাম্প শো ও বিড়ালকে ‘যেমন খুশি তেমন সাজাও’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল ক্লাবের আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমী এই প্রতিযোগিতা।
শনিবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এগ্রিকালচারাল ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, বিড়ালের র্যাম্প শো ও বিড়ালকে যেমন খুশি তেমন সাজাও—এ দুই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী জেলার প্রায় ৭০ জন প্রতিযোগী রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এ ছাড়াও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য ছিলো আকর্ষণীয় পুরস্কার। র্যাম্প শো প্রদর্শন ও সাজানোর ওপর ভিত্তি করে ৬ বিজয়ীকে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, র্যাম্প শোতে অংশ নিতে বিড়ালগুলোকে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়ে এনেছেন প্রতিযোগীরা। বিড়ালের চোখে সানগ্লাস, গায়ে শাড়ি, গলায় বিভিন্ন রঙের ফিতা, দামি পোশাক, মাথায় টুপি, কোমরে বেল্ট, কসমেটিকস, মুকুট পরিয়ে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত করে এ প্রতিযোগিতায় প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বিড়ালকে বর ও রাণী এলিজাবেথ সাজিয়ে ‘যেমন খুশি তেমন সাজাও’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন সাবা সরকার। তিনি রাজশাহী শহরের বর্ণালী থেকে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। সাবা এই আয়োজন সম্পর্কে বলেন, “র্যাম্প শো দারুণ এক প্রতিযোগিতা। আমি এই প্রথম এমন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছি। খুবই ভালো লাগছে এমন একটা প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে পেরে।”
বিড়ালকে চিত্র নায়িকা পরীমনি সাজিয়েছেন রিদিতা নামের এক প্রতিযোগী। রিদিতা বলেন, “আমার পারফর্ম খুব ভালে হয়েছে। আমার বিড়াল খুবই শান্তশিষ্ট। তাকে আজকে পরীমনি সাজিয়ে এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে। দারুণ পারফর্ম করেছে আমার বিড়াল। তার (বিড়াল) ভালো পারফর্মে পুরষ্কার পেয়েছি আমি।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রিকালচারাল ক্লাবের সভাপতি মো. জাকির হোসেন আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো পেট র্যাম্প শো আয়োজন করেছি। রাজশাহীতে যারা বিড়াল পোষে, তাদের নিয়ে মিলনমেলার আয়োজন করাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য ছিলো। আমরা অংশগ্রহণকারী বিড়ালগুলোকে ফ্রি মেডিকেল চেক-আপ, ভ্যাকসিন ও ডিওয়ার্মিং মেডিসিন দিয়েছি। এ র্যাম্প শো তে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের আমরা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দিয়ে থাকছি।”
প্রোগ্রামটির আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক ছিল ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাপ্লাইড ইথোলজি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতি ড. মোইজুর রহমান, এগ্রিকালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।