অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভাসানচরে পৌঁছে খুশি রোহিঙ্গারা, মোনাজাত ও দোয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার   আপডেট: ০৫:৪৯ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার

ভাসানচরে পৌঁছানোর পর মোনাজাত ও দোয়া রোহিঙ্গাদের

ভাসানচরে পৌঁছানোর পর মোনাজাত ও দোয়া রোহিঙ্গাদের

ভাসানচরে পৌঁছে গেছে রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজগুলো। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ৮টি জাহাজে করে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুরা শুক্রবার বিকেলের দিকে ভাসানচরে পৌছায়। সেখানে পৌঁছে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রোহিঙ্গারা। তাদের জন্য গোছানো সাজানো আবাস দেখে খুশি হয়েছেন।

মোনাজাত করে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন অনেকেই। 

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পৌঁছানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা নাগাদ রোহিঙ্গা পরিবারগুলো তাদের জন্য বরাদ্দ ঘরে উঠে যান। দীর্ঘ যাত্রার ধকলের কারণে তারা বিশ্রাম করছেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তার।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসান চরের পথে যাত্রা শুরু হয়। নৌ বাহিনীর ও কোস্ট গার্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শুক্রবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে ৮ টি জাহাজ একযোগে ভাসানচরে উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। সকাল ৯ টা থেকে জাহাজ উঠতে শুরু করেন স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়া থেকে বাসে করে চট্টগ্রামের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হয় এই রোহিঙ্গাদের। রাতে তাদের  রাখা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী রেডি রেসপন্স বাথ ও বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ‘ট্রান্সজিট ক্যাম্পে’। সেখানে রাতে সকল রোহিঙ্গার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়।

যা রয়েছে ভাসানচরে
১২০টি ক্লাস্টার গ্রাম নিয়ে তৈরি ভাসান চর ১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের জন্য প্রস্তুত। বিদ্যুৎ ও সোলার প্যানেল, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট এবং মোবাইল ফোনের টাওয়ারসহ ভবনগুলো যে কাউকে অবাক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বাড়িগুলো মাটির চার ফুট উপরে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে তৈরি। পুরো আবাসন সাইটটির নিরাপত্তায় রয়েছে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা সুরক্ষা বাঁধ। এছাড়াও রয়েছে চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, দুটি স্কুল ও তিনটি মসজিদ।

জাতিসংঘ নির্ধারিত আকারেরও বড় মাথা গোঁজার ঠাঁই এই দ্বীপ। সৌরবিদ্যুৎ জোগাবে আলো আর পানি। রান্নায় সাশ্রয়ী আর পরিবেশবান্ধব চুলা। শিশুদের জন্য স্কুল, খেলার মাঠ। কক্সবাজারের ক্যাম্পের তুলনায় এমন অন্তত ১৬টির বেশি সুবিধা নিয়ে ১ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীর জন্য অপেক্ষা করছে ভাসানচর, যাদের মধ্যে ১৬৪২ জন শুক্রবার পৌছালেন।