বাজেট ২০২৩-২৪
ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ১ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক খাতে থেকে সরকার ঋণ নেবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৬ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা বেশি। আর মূল বাজেট থেকে বেশি ২৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে সরকারের ব্যাংক ঋণের এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ কোটি করা হয়। আর মূল বাজেটে সরকারের ব্যাংক ঋণের প্রাক্কলন ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের শেষের দিকে সংশোধিত বাজেটে ৯ হাজার ৯১ কোটি টাকা ঋণ বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করে।
বছরজুড়েই রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি ছিল বিরাজমান। জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রিও কমে গেছে। ফলে ব্যয় নির্বাহ করতে সরকারের ব্যাংকের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হয়েছে। বেড়ে গেছে ঋণ। সে ধারাবাহিকতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যাংক ঋণ বাড়িয়ে লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এ ব্যাংক ঋণের মধ্য থেকে বাড়তি সুদের দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ৮৬ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। আর তুলনামূলক কম সুদের ঋণ ৪৫ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটের মূল দর্শন হলো- ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অর্থবছরের পুরো সময়জুড়েই থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তা সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।