বাজেট ২০২৩-২৪
দাম কমবে যেসব পণ্যের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস, কৃষিপণ্যসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
যেসব পণ্যের দাম কমবে
মাংস
প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মাংসের দাম কমতে পারে।
এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট
উৎপাদনে উৎসাহিত করতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস সকেট আমদানি করতে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ রয়েছে।
প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক হার ১০-১৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এলইডি বাল্ব ও সুইস এবং সকেটের দাম কমতে পারে।
ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ
প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের ডেলিভারি চার্জ কমবে।
মিষ্টিজাতীয় পণ্য
প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে মিষ্টির দাম কমতে পারে। মিষ্টির ওপর ভ্যাট অর্ধেক করার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বর্তমানে চালুকৃত ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্কছাড়ের কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দামও কমতে পারে। এছাড়া সফটওয়্যার, ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, অভিজাত বিদেশি পোশাকের দামও কমতে পারে।
এর আগে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি।
নতুন অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চারটি মূল স্তম্ভের ওপর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি।