চলে গেলেন নাট্যকার ও পরিচালক মোহন খান
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ৩১ মে ২০২৩ বুধবার
লেখক ও নাট্যনির্মাতা মোহন খান আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর আগে তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় চিকিৎসা চলে এই নাট্য নির্মাতার। ওই সময় তার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। সেটা অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয় বলে জানান তার ছেলে ইউশা মোহন। তারপর অবস্থা উন্নতির দিকেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে মোহন খানের ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডের ওপরে প্রেশার পয়েন্টে আরও একটি অস্ত্রোপাচার করতে হয়। এরপরই অবস্থার অবনতি ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়লে শুরুতে আইসিইউ এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় তাকে।
লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যুরবরণ করেন তিনি। মোহন খানের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
দেশের নাট্য অঙ্গনে পরিচিত মুখ মোহন খান। তার বড় কারণ বিগত তিন দশক ধরে তিনি এই অঙ্গনে বিচরণ করেছেন। তার পরিচালনায় দেশের নাটকের অধিকাংশ অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ ও রচনা করেন। তার পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচার হয়। তার লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড় খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন। তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তার মৃত্যুর পর ফেসবুকে তারকারা তার সঙ্গে ছবি শেয়ারের পাশাপাশি নানা ধরনের স্মৃতিময় পোষ্টও করছেন।
জানা যায়, আজ মোহন খানের মরদেহ তার লালমাটিয়ার বাড়িতে নেয়া হবে। বুধবার বাদ জোহর লালমাটিয়া শাহি মসজিদে নামাজে জানাজা হবে। এরপর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।