রাবিতে প্রক্সি দিতে এসে গ্রেপ্তার বিসিএস কর্মকর্তা
ক্যাম্পাস করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ৩১ মে ২০২৩ বুধবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অন্যের প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার সাতজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে ছয়জন তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে দোষ স্বীকার করলেও একজন পরিচয় প্রকাশ করেননি। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম-পরিচয় বেরিয়ে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আটক ওই ব্যক্তির নাম শেখ মো. আবু হানিফ। তিনি বর্তমানে ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা অফিসার হিসেবে কর্মরত।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় কুমার বসাক।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাতজন সোপর্দের পাশাপাশি পুলিশ রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও নাটোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্তসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। শান্তকে মঙ্গলবার রাতে নগরীর কাটাখালি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রিফিংয়ে বিজয় কুমার বসাক বলেন, আমরা এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। এরমধ্যে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়। তিনি ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা। বর্তমানে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্বীকার করলেও অনুসন্ধানে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
এদিকে, রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা শান্তসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে মামলাগুলো দায়ের করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম।