আবাহনীকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৯ পিএম, ৩০ মে ২০২৩ মঙ্গলবার
অপেক্ষাটা প্রায় ১৪ বছরের, দীর্ঘ এ সময় পর ‘ঢাকা ডার্বি’ খ্যাত ফেডারেশন কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নেমেছিল আবাহনী-মোহামেডান। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এ খেলা দেখতে ভরদুপুরে ঢাকা থেকেও কুমিল্লায় পাড়ি জমান অনেক দর্শক। তবে রোমাঞ্চ জাগানিয়া এ ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছে মোহামেডান।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে মোহামেডান।
এদিন বল দখলে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল আবাহনী। অন্যদিকে শুরুর দিকে গোল করার মতো খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মোহামেডান। ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে কিছুটা এগিয়ে এসে শট নেন এমেকা। কিন্তু তার বাঁকানো সেই শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
তবে গোলের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি আবাহনীকে। আট মিনিট পরেই এমেকার ক্রস থেকে গোল করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ফাহিমের নেওয়া নিচু শট গোলরক্ষক সুজনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। এতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন গ্যালারির আবাহনীর সমর্থকরা।
ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কলিনদ্রেস। মাঝ মাঠ থেকে হৃদয়ের নেওয়া লম্বা পাস বক্সের ভেতরেই পেয়ে যান কোস্টারিকান এ ফরোয়ার্ড। এরপর দ্রুতগতির শটে লক্ষ্যভেদ করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। ক্রমেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। চার মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।
ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন দিয়াবাতে। তার প্লেসিং শটে পরাজিত হন আবাহনীর গোলরক্ষক। এর মিনিট চারেক পরেই জোড়া পূরণ করেন দিয়াবাতে।
মোহামেডানের সমতায় ফেরার মিনিট পাঁচেক পর আবারও লিড নেয় আবাহনী। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে নাইজেরিয়ান এমেকার গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আবাহনী।
শেষ দিকে ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে দিয়াবাতের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর আশা ভেঙে আবারও সমতা আনে মোহামেডান। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।
প্রায় ৮ বছর পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফেডারেশন কাপের ফাইনালের লড়াইটা আরও বেশি জমজমাট হয়ে ওঠে। ম্যাচের ১০৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের চতুর্থ গোল করেন মোহামেডানের দিয়াবাতে। তার গোলে আবারও লিডে ফিরে সাদা-কালো শিবির।
এরপর ম্যাচে ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় আকাশী-নীলদের শিবির। এ যাত্রায় সফল দলটি। অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে এবার স্বপ্নভঙ্গ মোহামেডানের। ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে লম্বা শট নেন রহমত। পরে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায় বল। এতে মোহামেডানের জয়োল্লাসের স্বপ্ন থামিয়ে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখে আবাহনী। এরপর আর কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
ভাগ্য প্রসন্ন টাইব্রেকারে শেষ রোমাঞ্চে মাতেন মোহামেডানের সমর্থকরা। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।