কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত টুইট, কঙ্গনাকে আইনি নোটিস
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার আপডেট: ০৪:০০ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের। কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত টুইট করায় একের পর এক সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন তিনি। এবার তাকে আইনি নোটিস পাঠাল দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি (ডিএসজিএমসি)।
তাদের দাবি, কৃষকদের ‘মা’ হিসেবে পরিচিত ‘শাহিনবাগ দাদি’কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। এজন্য তাকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। একজন বৃদ্ধাকে এভাবে খাটো করার এখতিয়ার তার নেই।
ডিএসজিএমসির যুক্তি, নিজের বাংলো ভাঙা নিয়ে মুম্বাই কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কঙ্গনা। সেরকম কৃষকদেরও অধিকার আছে নতুন কৃষি আইন নিয়ে সংবিধান মেনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার। সেই বিক্ষোভকে ও চাষিদের এভাবে অবমাননা করতে পারেন না তিনি।
গেল ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতে নতুন তিন কৃষি সংস্কার বিল পাস হয়। এরপরই তা বাতিলের দাবিতে ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। তাদের স্লোগানে এখন মুখরিত দেশটির রাজধানী। সারাদেশে পথে নেমেছেন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলানো মানুষগুলো।
ন্যায্য এ আন্দোলকে ‘দেশদ্রোহিতা’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ৩৩ বছরের কঙ্গনা। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি টুইটে ‘শাহিনবাগ দাদি’র তকমা পাওয়া ৮২ বছর বয়সী দাদি ‘ বিলকিস বানো’কে সরাসরি আক্রমণ করেছেন তিনি। কিন্তু আসলে তার নাম মহিন্দর কৌর।
হিরোইন খ্যাত অভিনেত্রী বলেন, এ সমাবেশে হাঁটছেন বিলকিস। ১০০ রুপির বিনিময়ে বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে তাদেরকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।
কঙ্গনা লেখেন, ধিক্কার...কৃষকের নামে যে যার ফায়দা লুটছে। আশা করি, দেশদ্রোহীরা যাতে সুযোগ না পায়, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখবে সরকার। ফলে শাহিনবাগের মতো আরেকটি প্রতিহিংসার সূত্রপাত ঘটবে না। রক্তপিপাসুদের ও কুচক্রী মহলকে স্বার্থসিদ্ধি উদ্ধার করা থেকে আটকানো উচিত।
ডিএসজিএমসি আরও দাবি জানায়, পরিস্থিতি বিচার করে যেন দ্রুত কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয় সরকার।