অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইএফসি`র ৩৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩৫ পিএম, ২২ মে ২০২৩ সোমবার  

বাংলাদেশে ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র কৃষক বিশেষত নারীদের আয় বৃদ্ধি এবং একটি শক্তিশালী চালের বাজার গড়ে তুলতে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্টাষ্ট্রিজের (এমজিআই) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডকে (টিএফএল) আইএফসি ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। মূলত বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এ সহায়তা করা হচ্ছে।

আইএফসির গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্মের (জিএফএসপি) আওতায় এটি প্রথম বিনিয়োগ। একটি অধিকতর টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তুলতে উৎপাদন পুনরুদ্ধার এবং উন্নতি করার মাধ্যমে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সামাল দিতে ৬ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক অর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে।

এই বিনিয়োগের ২১ মিলিয়ন ডলার আইএফসির নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে এবং গ্লোবাল এগ্রিকালচার এন্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রামের (জিএএফএসপি) বেসরকারি খাত বিষয়ক উইন্ডো থেকে ১৪ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সাবঅর্ডিনেটেড ঋণ। এই অর্থায়ন টিএফএলকে বগুড়া অঞ্চলে দৈনিক ১০০০ মেট্রিক টন চাল প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় চালের মিল স্থাপনে সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার টন গুণগত মানের প্যাকেটজাত চাল উৎপাদন হবে। এটি দৈনিক ৮০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার একটি রাইস ব্র্যান ওয়েল কারখানা এবং তাপ ও বিদ্যুতের জন্য একটি হাস্ক-ভিত্তিক সহ-উৎপাদন কারখানা স্থাপনেও সহায়ক হবে, যা জলবায়ু অভিযোজনে এবং উৎপাদন সময়কালীন জ্বালানি খরচের উঠানামার পরিস্থিতি সামাল দিতে অবদান রাখবে।

এমজিআইয়ের পরিচালক তাহমিনা বিনতে মোস্তফা বলেন, ‘এই বিনিয়োগ আমাদেরকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে চালের প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সরবরাহ কার্যক্রম বাড়াতে সহায়তা করবে, যে অঞ্চলে বৃহৎ সংখ্যক ক্ষুদ্র কৃষক ঐতিহ্যগতভাবে তাদের জীবিকার জন্য চাল উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং পছন্দের পরিবর্তনের কারণে প্যাকেটজাত চালের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রচলিত হাস্কিং মিলের পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় মিল স্থাপনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের চাল উৎপাদন খাতের আধুনিকায়নে অবদান রাখবো, যা চালের গুণগত মান এবং প্যাকেটজাত চাল সংরক্ষণ করে রাখার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মুখ্য।’

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আইএফসির আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো পুলিতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বলতে চালের নিরাপত্তা বুঝায়। অত্যাধুনিক একটি রাইস মিল স্থাপনের মাধ্যমে এই প্রকল্প শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে আগের তুলনায় বেশি টাকা যাবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশে এই রাইস মিল প্রকল্প ও পাইপলাইনে থাকা একই ধরণের আরও প্রকল্প বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ বাজারকে মূল্য ও সরবরাহজনিত অভিঘাত থেকে সুরক্ষা দিতে এবং ভোক্তা ও কৃষকদের সুবিধার্থে অধিকতর সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে।’

এই বিনিয়োগ বাজারের সাথে ক্ষুদ্র কৃষকদের সংযোগ বাড়াবে, স্পট পেমেন্টের ব্যবস্থা করবে, চাল মজুদ রাখার সময় কমাবে, অপচয় কমাবে এবং ধানের গুণগত মানের উন্নতি ঘটাবে।

আইএফসি কোম্পানিটির পরিবেশগত এবং সামাজিক মান জোরদারে সহায়তা করবে, কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালাসহ এর পরিচালন পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে।