অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

গরুর মাংস চড়া, অস্থির চিনি ও তেলের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ৫ মে ২০২৩ শুক্রবার   আপডেট: ০১:২৪ পিএম, ৫ মে ২০২৩ শুক্রবার

৭২০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস ঈদুল ফিতরের আগে ৮০০ টাকায় পৌঁছায়। কিন্তু ঈদ চলে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরও সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। কোরবানি ঈদের আগে তা কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (৫ মে) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, গরুর দাম বেশি। তাই মাংসের দামও বেড়েছে। আপাতত দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান মাংস ব্যবসায়ীরা।

অভিযোগ উঠেছে, সামনে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে গরুর মাংসের দাম বাড়াতে চান মাংস ব্যবসায়ীরা। মাংসের দাম নির্ধারণ হয় ঈদের আগে আগে। হঠাৎ দাম বাড়াতে গেলে রোষানলে পড়তে হতে পারে, তাই আগে থেকেই গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

ভিন্ন চিত্র ব্রয়লারের বাজারে। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। দুই দিন আগেও তা ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ব্রয়লারের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমেছে।

পাইকারি বাজারে দাম কমার কারণে ব্রয়লারের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া মাংসের বাজারে পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। লাল মুরগি ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪৪০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির দাম কিছু কমলেও বেড়েছে এর ডিমের দাম। পাইকারি বাজারে ব্রয়লারের ডিমের শ বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায়। অর্থাৎ দোকানি এক হালি ডিম কিনছেন ৪৬ টাকায়। বিক্রি করছেন চার টাকা লাভে। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে প্রতি হালি ডিমের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। ডজন ১৫০ টাকা।

এদিকে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। সপ্তাহ ব্যবধান কেজিতে চিনির দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে দৃষ্টি হয়েছে সংকট। আবার বাড়তি দাম দিয়েও ভোক্তারা খুচরা বাজার ঘুরে চিনি কিনতে পারছেন না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দামের কারণে তারা চিনি তুললে সাহস পাচ্ছেন না। এদিকে হঠাৎ করে চিনির বাজারে অস্থিরতার কারণে ভোক্তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এদিকে চিনির মতো তেলের বাজারেও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লার সই করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৬ টাকা; যা ছিল ১৬৭ টাকা। আর পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯০৬ টাকা থেকে ৫৪ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৬০ টাকা। এছাড়া খোলা পাম সুপার তেল লিটার প্রতি ১১৭ টাকা থেকে ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।