প্রত্যাবাসন
রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে মিয়ানমার গেলো রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ৫ মে ২০২৩ শুক্রবার
রাখাইন রাজ্যের মংডুতে পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেছে। ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ২০ জন রোহিঙ্গা এবং পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফের জেটিতে আসেন। সকাল ৯টার দিকে তারা নৌপথে স্পিডবোটে রওয়ানা দেন।
প্রতিনিধি দলটি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে রাখাইনের সার্বিক পরিস্থিতি কতটুকু অনুকূলে রয়েছে তা দেখবে। বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি রাখাইনে যাচ্ছে।
জানা গেছে, টেকনাফের নাফ নদী হয়ে প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারের মংডু শহরে যাবে।
এর আগে বাংলাদেশে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গত ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি টানা সাত দিন টেকনাফের স্থল বন্দর রেস্টহাউসে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ রোহিঙ্গার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করেন।
raa
২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধি দলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়। ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেল।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।
সর্বাত্মক চেষ্টা করেও গত প্রায় ছয় বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বারবার আশ্বাস দিলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নানা টালবাহানা করছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে সামরিক শাসন ফিরে আসায় প্রত্যাবাসনের আলোচনা অনেকটা এতদিন থমকে ছিল। তবে সম্প্রতি দেশটির একটি প্রতিনিধি দলের সফরের পর আবার নতুন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এবার রোহিঙ্গ প্রতিনিধি দলের সফরে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে।