৩ শ্রমিকের মৃত্যুতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের শোক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার আপডেট: ০৩:১৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের হেডকোয়ার্টারে ইফতারের সময় অসুস্থ হয়ে পড়া তিন শ্রমিকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ওয়ালটন পরিবারের তিন সদস্যের আকস্মিক মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষ এক দিনের শোক দিবস ঘোষণা করেছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) এক দিনের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে রোববার তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
রমজান উপলক্ষ্যে কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার জনবল ইফতার গ্রহণ করে। প্রতিদিনে মতো রোববারও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতার গ্রহণের সময়ে পাঁচ শ্রমিক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মূল ডাইনিংয়ের বাইরে শরবত জাতীয় পানীয় তৈরি করে পান করেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই পাঁচজন শ্রমিকের মধ্য থেকে তিনজন অসুস্থ্যতাবোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়ালটনের মেডিক্যাল টিম তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে কারখানার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই তিন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন।
পরে আরেকজন শ্রমিক অসুস্থ্যতাবোধ করলে তাকেও জরুরি ভিত্তিতে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার সু-চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সব সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারের পাশে আছে এবং থাকবে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী কমপ্লায়ান্স মেনে (ইনস্যুরেন্স, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদি) যথাযথ সুবিধাসহ তাদের পরিবারকে এর অতিরিক্ত আরো আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
ওয়ালটন কারখানায় নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সু-স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় শুরু থেকেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার সরবরাহ করে আসছে। কোম্পানির নিজস্ব তত্ত্বাবধানে যে খাবার সরবরাহ করা হয়, তা ছাড়া অন্য খাবার গ্রহণ না করার জন্য ওয়ালটনের সকল সদস্যকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়ে থাকে।
এ দুর্ঘটনার বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারখানা এবং এর আশপাশের সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।