চাঁদে চীনের চ্যাং-৫
সাই-টেক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ২ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার
চীনের মানববিহীন মহাকাশযান চ্যাং-৫ ‘পা’ রেখেছে চাঁদে। মহাকাশযানটির সাহায্যে চাঁদ থেকে ২ কেজির কাছাকাছি শিলা বা মাটি সংগ্রহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ৪৪ বছর আগে সর্বশেষ চাঁদ থেকে শিলা সংগ্রহ করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা-২৪।
শিলা সংগ্রহের জন্য চাঁদের ওশেনাস প্রসেলারাম বা ‘ওশান অব স্টর্ম’ এর কাছাকাছি মোন্স রুমকার আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) পৌঁছেছে চ্যাং-৫। চাঁদের এই অঞ্চল থেকে এর আগে নমুনা সংগ্রহ করেনি কোন দেশ।
চ্যাং-৫ এ একটি ক্যামেরা, স্পেকট্রোমিটার, রাডার, সেচনী ও ড্রিল মেশিন আছে, যেগুলোর সাহায্যে আগামী দুই দিন ওশেনাস প্রসেলারামের চারপাশে ঘুরে ঘুরে তথ্য ও শিলা সংগ্রহ করবে মহাকাশযানটি।
গত সপ্তাহে মহাকাশযানটি যাত্রা করলেও চীনের সংবাদমাধ্যমে কোন তথ্য প্রচার হয়নি। তবে মঙ্গলবার চ্যাং-৫ চাঁদে পা রাখতেই একের পর এক সংবাদ প্রচার করে চীনের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
মহাকাশযানের নাম চ্যাং-৫ দেয়া হয় চীনাদের প্রাচীন চাঁদের দেবীর নাম অনুসারে। বিজ্ঞানীরা যাতে চাঁদের উৎস ও গঠন সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করতে পারে তাই সেখান থেকে শিলা নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও এই মিশনের সাহায্যে মহাকাশের আরও জটিল অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহে চীনের শক্তিমত্তা জানা যাবে বলেও জানায় চীনের মহাকাশ কর্তৃপক্ষ।
যদি এই মিশন সফল হয় তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পর চীন হবে চাঁদ থেকে শিলা সংগ্রহকারী তৃতীয় দেশ।
১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অ্যাপোলো প্রোগ্রামে ছয় মহাকাশযানে মোট ১২ নভোচারীকে চাঁদে পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মাধ্যমে ৩৪২ কেজি (৮৪২ পাউন্ড) শিলা ও মাটি এনেছিল নাসা।
এছাড়া ১৯৭০ থেকে ১৯৭৬ এর মধ্যে তিনটি সফল রোবোটিক নমুনা রিটার্ন মিশন পাঠিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। যার সর্বশেষ লুনা-২৪ এর সাহায্যে চাঁদের ‘সি অব ক্রাইসিস’ নামক জায়গা থেকে ১৭০.১ গ্রাম শিলা সংগ্রহ করে তারা।