‘সংলাপ নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার
সংলাপের জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বরং অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য দলটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমন মন্তব্য করেন।
গত বছরের শুরুতে হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফায় সংলাপ করে। তবে বিএনপি এবং এর মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সংলাপে অংশ নেয়নি। বিএনপিকে না পাওয়ার পর সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, তারা সংলাপ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এই দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েই যাবেন।
বিএনপি এখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এর বাইরে কোনো বিষয় নিয়ে ইসির সঙ্গে সংলাপে যেতে নারাজ তারা। ইসি বলছে, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, তা ঠিক করার এখতিয়ার তাদের নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই। এমন অবস্থার মধ্যে ২৩ মার্চ বিএনপিকে সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য ইসির পক্ষ থেকে ফের চিঠি দেওয়া হয়। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য সুবিধামত সময়ে বৈঠক করতে বিএনপিকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
হঠাৎ নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা হচ্ছে। বিএনপিকে ভোটে আনতে এই চিঠির পেছনে সরকারের ইশারা আছে এমন কথাও বলা হচ্ছে। প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর পরামর্শে এমন চিঠি এমন গুঞ্জনও আছে।
এমন অবস্থায় সিইসি জানান, আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকে লিখেছেন, বিএনপিকে চিঠি দেওয়া সরকারের কূটকৌশল। তবে আমি বলছি, বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার পেছনে সরকারের কোনও কূটকৌশল নেই। বরং এটা ইসির কূটকৌশল হতে পারে। সরকার ইসির ওপর চাপ দিলে যে দেবে যাবে বিষয়টা ওরকম না। এখানে সরকারের কোনও রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের আজ্ঞাবহ কোনো কাজ নির্বাচন কমিশন করে না বলেও জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়, সেজন্যই ডেকেছি অনানুষ্ঠানিকভাবে ডেকেছি। কোনো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপে বিএনপিকে ডাকা হয়নি। সব নির্বাচন কমিশনার বসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাইবান্ধায় ভোট বন্ধের ইস্যুতে ১৩৪ জনের মধ্যে ৪০ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবারও পদক্ষেপ নিবে ইসি।