পোল্ট্রি খাতে ৫২ দিনে লুট ৯৩৬ কোটি টাকা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার
পোল্ট্রি খাতের বড় কম্পানিগুলো মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব হয়েছে মাত্র ৫২ দিনের মধ্যে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন এমন অভিযোগ করেছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে যা সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা। এ হিসেবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি মুনাফা করেছে। অপরদিকে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতিটি ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় দেওয়ার কথা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। কম্পানিগুলো প্রতিটি বাচ্চায় অতিরিক্ত মুনাফা করছে ৩০ টাকা। দেশে প্রতিদিন মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয় ২০ লাখ।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৫২ দিনে মুরগি বিক্রির মাধ্যমে কম্পানিগুলো লাভ করেছে ৬২৪ কোটি টাকা। আর এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে তাদের মুনাফা ৩১২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।
সংগঠনটি বলছে, পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা শতভাগ উৎপাদন করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার আংশিক ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। চুক্তিভিত্তিক খামারও রয়েছে তাদের। অপরদিকে ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণ প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে খামার বন্ধ করে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এতে করে বাজার বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে চলে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে এই খাতের অস্থিরতা কমানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের।