টাইগারদের বোলিং তোপে ১০১ রানে অলআউট আইরিশরা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার
দীর্ঘ ১৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে আয়ারল্যান্ড। আজ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় দুই দল। যেখানে সিরিজ বাঁচানোর মিশন আইরিশদের সামনে, অপরদিকে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য তামিম ইকবালদের। তৃতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ২৯ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।
সিরিজে প্রথমবার আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন টাইগাররা। উইকেট না পেলেও প্রথম ওভারে; প্রথম পাঁচ বলে কোনও রান দেননি হাসান মাহমুদ। স্টিফেন ডোহানি শেষ বলে নেন তিনটি রান। এরপর দ্বিতীয় ওভারেও তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিং, দেন ১ রান। তারও প্রথম পাঁচটি বল ডট।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসা হাসান নেন মেডেন। ফলে বাংলাদেশের বোলিং তোপে প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৪ রান তুলেছিল আইরিশরা। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় স্বাগতিকরা। তাসকিনকে কভার ড্রাইভে চার মেরে রানের খাতা খোলেন পল স্টার্লিং। এর পরের ওভার করতে এসে হাসানকে চার মারেন আরেক ওপেনার স্টিভেন ডোহেনি। অবশ্য এক বল পরই প্রতিশোধ নেন হাসান।
টাইগার পেসার হাসান মাহমুদের গতিতে পঞ্চম ওভারে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হন আইরিশ ওপেনার ডোহেনি। এরপর ৬ষ্ট ওভারে তাসকিনের আবারও আটশাট বোলিং, মাত্র ১ রান দেন এই ডানহাতি পেসার । অপরদিকে নিজের পঞ্চম ওভার করতে এসে আবারও আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান। নবম ওভারের প্রথম বলে স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউর ফাদে ফেলেন তিনি। ১২ বলে ৭ করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ব্যাটার।
এরপর উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি আইরিশ ব্যাটার হ্যারি টেক্টরও। দলীয় ২২ রানে, একেই ওভারে হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাদে পরে ৩ বলে শূন্য করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ব্যাটার। অপরদিকে হাসানের পর আয়ারল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ১০ম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলটি শরীর থেকে দূরে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি। তার বিদায়ে দলীয় ২৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আইরিশরা।
পঞ্চম উইকেটে লর্কান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্পার ব্যাটে ঘুরে দাড়াতে থাকে আয়ারল্যান্ড। এই জুটি মিলে গড়েন ৪২ রান। কিন্তু দলীয় ৬৮ রানে এবাদতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৩১ বলে ২৮ করে সাজঘরে ফেরেন টাকার। এরপর উইকেটে এসে রানার খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জর্জ ডকরেল। পরে দলীয় ৭৯ রানে তাসকিনের ওভারে আরো দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে রান সংগ্রহের চাপে পরে বলবার্নির দলের।
শেষে দিকে ক্যাম্পারের ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২৯ ওভারে অলআউট হয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৫ টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া তাসকিন আহমেদ নেন ৩ টি উইকেট।