পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ নায়িকা মাহির
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার আপডেট: ০৫:২৭ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশের একটি বিতর্কিত জমি ও গাড়ির শোরুম পুলিশ দেড় কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে দখল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শুক্রবার ভোরে তিনি গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন।
ফেসবুকে লাইভে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি অভিযোগ করেন, ‘আমি এবং আমার হাজব্যান্ড ওমরাহ পালনে সৌদি আরব রয়েছি। বিষয়টি হচ্ছে, গাজীপুর পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে আমি অভিযোগ করতে চাই। আমাদের একটি গাড়ির শোরুম আছে, ভাওয়াল কলেজের পাশে সনিরাজ কার প্লেস। এই শোরুম নিয়ে অনেক দিন ধরে অনেকেই প্রবলেম করছে। এখানে একটি লোক আছে ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন। উনি গাজীপুর কমিশনারকে... গাজীপুরের কমিশনার অনেক দিন ধরেই আমার হাজব্যান্ড ও তার ফ্যামিলি, মানে এখানে সুলতান ভাই আছেন, ফয়সাল ভাই আছেন সবার পেছনে লেগেছেন। সুলতান সরকারের ভাই হিসেবে রকিব সরকারের বিরুদ্ধে লেগেছেন। তো সে দেড় কোটি টাকা ঘুষ খেয়ে আমাদের শোরুম দখল করে দেওয়ার জন্য সে তার অতিরিক্ত কমিশনার দেলোয়ারের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন, সে আমাদের শোরুমটি দখল করে দেবে এই মর্মে। আমরা এজন্য পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছি, তাকে এরকম কিনা জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু তিনি বারবার জমির কাগজপত্র চেয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কেন জমির কাগজপত্র নিয়ে ডিল করবে, এটা পুলিশের কাজ না। জায়গা জমির বিষয়টি হবে আদালতের মাধ্যমে। আদালত রায় দেবেন।’
১২ মিনিটের ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে মাহি বলেন, ‘আমরা থানায় জিডি করতে গেলে ওসি প্রথম দিন জিডি নেননি। আমাদের একটি ভুয়া জিডির কাগজ দিয়েছেন। জিডি না নেওয়ায় পুলিশ কমিশনার অভিনয় করে ওসিকে কিছু দিনের জন্য প্রত্যাহার করেন। এখন আবার ক্লোজড উঠিয়ে নিয়েছে। আমি লাইভ করছি, আগামীকাল আমি দেশে আসব। বাংলাদেশে এসে আমি এটা নিয়ে তুলকালাম করে ফেলব।’ এ সময় তিনি তার অনুসারীদের ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলকারী লোকজনের ভিডিও করতে নির্দেশ দেন। ফেসবুকে লাইভের শেষে পুলিশ কমিশনারকে আসল কালপ্রিট বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাহিয়া মাহি।
এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার যে অভিযোগ মাহিয়া মাহি এনেছেন তা ডাহা মিথ্যা কথা। তাকে জিজ্ঞেস করেন পুলিশ কী প্রক্রিয়ায় টাকা নিয়েছে। তার স্বামী ও তাদের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। যেহেতু ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশকে জড়িয়ে তিনি এ ধরনের কথা বলেছেন সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান কমিশনার।’