অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় সিজন

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৯ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার  

দ্বিতীয় সিজনের প্রথম গান ‘মুড়ির টিন’ প্রকাশ করেছে কোক স্টুডিও বাংলা। কোকাকোলার আন্তর্জাতিক সংগীত আয়োজন কোক স্টুডিওর বাংলাদেশি সংস্করণের এই গানটিতে স্থান পেয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনার আঞ্চলিক ভাষা।

কোক স্টুডিও বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ‘কোক স্টুডিও বাংলা’ ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট এই চারটি বিভাগের ছয়টি জায়গায় একই সঙ্গে বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি লোকাল বাসকে কেন্দ্র করে বিশাল সেট ফেলে সংগীত ও বাদ্যশিল্পীদের জাঁকমজক উপস্থাপনায় জমে উঠেছে মুড়ির টিন। শ্রোতাদের ভালোবাসায় ভরে উঠেছে কমেন্ট সেকশন।

কোক স্টুডিও বাংলার পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে লোকাল বাসের আরেকটি প্রচলিত নাম ‘মুড়ির টিন।’ জ্যামে আটকে থাকা তরুণদের গল্প উঠে এসেছে এই মজার, প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর গানটিতে।

এই গানে অংশ নিয়েছেন তিন প্রতিভাবান তরুণ শিল্পী রিয়াদ হাসান, তৌফিক আহমেদ এবং পল্লব।

কোক স্টুডিও বাংলার সঙ্গীত প্রযোজক শায়ান চৌধুরী অর্ণব বলেন, “মুড়ির টিন একটি দারুণ মজার ও প্রাণবন্ত গান। এমন একটি গান দিয়েই আমরা দ্বিতীয় সিজন শুরু করতে চাচ্ছিলাম। তরুণ, প্রতিভাবান এই শিল্পীদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাটি ছিল চমৎকার। আশা করছি, দর্শক-শ্রোতারা গানটি পছন্দ করবেন আর সারা বছর জুড়ে আমাদের সাথেই থাকবেন।” 

মুড়ির টিন প্রধানত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা বা চাটগাঁইয়া ভাষায় গাওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের মুখের এই ভাষা দেশের অন্যতম প্রাচীন ভাষাগুলোরও একটি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং বাংলাদেশের মানুষদের কথ্য সব ভাষাকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে এই গানটি প্রচার করা হচ্ছে।  

রিয়াদ হাসান বলেন, “কোক স্টুডিও বাংলা-য় অংশ নেওয়া আমার জন্য একটি স্বপ্নের মতো ছিল। আশা করছি এই গান অনেকদিন ধরে সবার মুখে মুখে থাকবে।” 

তৌফিক আহমেদ বলেন, “নতুন সিজন শুরু করার জন্য মুড়ির টিনের মতো চমৎকার গান আর হয় না।” 

পল্লব বলেন, “কোক স্টুডিও-র মতো বড় একটি প্ল্যাটফর্মে সিলেট ও সিলেটি ভাষাকে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এই গানের সুর সবার মনে দোলা দিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।”    

ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকায় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাস্ট) উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

আয়োজনগুলোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ ‘মুড়ির টিনের’ তালে নেচে গেয়ে অংশ নেন এবং আনন্দ প্রকাশ করেন বলে জানানো হয়।

এই সিজনে দর্শক-শ্রোতাদের বৈচিত্র্যময় ও নতুন সব গান উপহার দেওয়াই কোক স্টুডিও বাংলার লক্ষ্য। কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল ইউটিউবে দেখা ও স্পটিফাই চ্যানেলে শোনা যাচ্ছে মুড়ির টিন।