অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

যশোরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ১৫

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার  

যশোরে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে দলটির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার সময় এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের পদযাত্রা থেকে পুলিশ দুই কর্মীকে আটক করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে কর্মসূচির আগে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আরও ১২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিন বেলা তিনটায় যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হন। কিছুক্ষণের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম সেখানে পৌঁছান। ১০ দফা দাবিতে বাহাদুরপুর থেকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু হয়। শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডের দিকে পদযাত্রা অগ্রসর হয়। নওয়াপাড়া মেহগনি মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয়। তারপরও ব্যানার বাদেই পদযাত্রা চলতে থাকে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় নেতা-কর্মীরাও ইটপাটকেল ছুড়ে। সেখান থেকে এককর্মীকে আটক করে পুলিশ। 

পদযাত্রাটি শহরের শেখহাটি হাইকোর্ট মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার মধ্যদিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের বাঁধার মুখে পদযাত্রা পণ্ড হয়ে যায়। মাঝপথেই পদযাত্রা শেষ করতে বাধ্য হন নেতা-কর্মীরা।
 
একই সময়ে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম ফতেপুর ইউনিয়নে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি যশোর-নড়াইল সড়কের দাইতলা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় নেতা-কর্মীরাও ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পদযাত্রা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে মাসুদুর রহমান নামে স্থানীয় যুবদলের এক নেতাকে পুলিশ আটক করে। 

কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির মিছিল থেকেই পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের লাঠিই ছিল না, লাঠিপেটার প্রশ্নই আসে না।