পরীক্ষার ভীতি দূর করে শিক্ষাকে আনন্দময় করা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশিত: ০৩:২৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৩:২৬ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
নতুন শিক্ষানীতিতে পরীক্ষার ভীতি দূর করে শিক্ষাকে আনন্দময় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, শিক্ষা হবে আনন্দময়। পরীক্ষার ভীতিতে সারাক্ষণ পড়া, শুধুই মুখস্থ করা, শুধুই পরীক্ষায় ভালো নম্বরের জন্য পড়া তা নয়। আমরা পড়বো, শিখবো, আনন্দের সঙ্গে শিখবো। যা শিখবো তা অনুধাবন করবো। তা আত্মস্থ করবো, তা আবার প্রয়োগ করতে শিখবো।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আনন্দময় এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার ভীতি থাকবে না। কারণ, আমি তো মুখস্থ করে কোনো কিছু লিখে দিয়ে শুধু নম্বর পাওয়ার জন্য শিখছি না। আমি শিখছি জ্ঞান অর্জনের জন্য, দক্ষ হওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অশিক্ষা থাকবে না। মানুষ তার সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে শেখ হাসিনার একটি অঙ্গীকার। যার অর্থ হচ্ছে একুশ শতকের সোনার বাংলা, একটি বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা। যার চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, একটি দেশ তখনই ডিজিটাল দেশ হিসেবে গণ্য হবে, যখন এটি পরিণত হবে ই-স্টেটে। অর্থাৎ যখন রাষ্ট্রের যাবতীয় কর্ম তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয় ও ব্যবহারে ঘটবে। যার মূল নিয়ামক হচ্ছে কানেকটিভিটি। এই সার্থক ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে গড়ে উঠছে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রমুখ।
দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার ফিস দেওয়া থেকে শুরু করে সবখানে ডিজিটাল মানি লেনদেন করতে পারছি। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লড়াইয়ে ব্যস্ত আছি।
তিনদিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় বিটিসিএল, বিটিআরসি এবং বিভিন্ন টেলিকম প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।