বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সুবিধা তহবিল তৈরি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১০:২১ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার আপডেট: ০১:২১ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ১০ হাজার কোটি টাকার একটি রপ্তানি সুবিধা তহবিল তৈরি করেছে। তহবিলের আওতায় একজন রপ্তানিকারককে তহবিল থেকে সর্বাধিক ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়ে অর্থায়ন করবে এবং রপ্তানিকারকদের কাঁচামাল আমদানিতে ওই অর্থ ব্যবহার করতে হবে। ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১.৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ পাবে। ব্যবসায়ীরা ৪ শতাংশ সুদ হারে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ওই ঋণ পরিশোধ করবেন। এই তহবিলটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে উদ্ভূত বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানিকারকদের সহায়তা করবে। এটি রপ্তানিকারকদের চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে। ছয় মাসের মধ্যে ঋণদাতাদের তহবিল পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু তারা গ্রাহকদের জন্য ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়াতে বা কমাতে পারে।
কোনো রপ্তানিকারক অপ্রত্যাশিত কোনো পরিস্থিতির কারণে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য যথাসময়ে ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেস-টু-কেস ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধের সুবিধা আরও তিন মাসের জন্য বাড়িয়ে দেবে। গ্রাহকদের রপ্তানি বিল বকেয়া থাকলে, এই প্রকল্প থেকে নতুন তহবিল পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। ব্যাংকগুলো অপ্রত্যাশিত কারণে সময়মতো তাদের রপ্তানি বিলের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে, এই প্রকল্প থেকে নতুন তহবিল পেতে পারবে। সেক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের ঋণ সুবিধা নেওয়ার আগে, তাদের বকেয়ায় অন্তত ৫০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। কাঁচামাল আমদানির জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণকারীদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকল্প থেকে ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) বি ও সি ধরনের শিল্পের সদস্যরা এই তহবিল পাওয়ার যোগ্য হবেন। ইপিজেডে এ, বি ও সি এই তিন ধরনের কোম্পানি রয়েছে।
বিদেশী এবং বাংলাদেশী মালিকানাসহ যৌথ উদ্যোগ কোম্পানিগুলোকে টাইপ বি এবং শতভাগ বাংলাদেশী মালিকানার কোম্পানীগুলোকে টাইপ সি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।