শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে পেরেছি: শিক্ষামন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২৩ রোববার
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ২ বছর পর ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এসে উৎসবমুখর পরিবেশে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন বছরের প্রথম দিনেই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে গেছে নতুন বই। এ দিন সকাল থেকেই নতুন বইয়ের ঘ্রাণে দলে দলে বিদ্যালয়ের মাঠে ভিড় করেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের কোলাহল আর উদ্দীপনায় তাই প্রতিটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই ছিল উৎসবের আমেজ।
রোববার (১ জানুয়ারি) সারাদেশের মতো গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেও উৎসবমুখর পরিবেশে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বেলা ১১টায় মন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উৎসবমুখর পরিবেশে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে বাস্তব ও কর্মমুখী করার জন্য নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আনন্দময় পরিবেশে পাঠ গ্রহণ করবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন স্বপ্ন দেখিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। সেই স্মার্ট বাংলাদেশে নাগরিকরা হবে স্মার্ট, সরকার হবে স্মার্ট সরকার, অর্থনীতি হবে স্মার্ট অর্থনীতি, সমাজ হবে স্মার্ট সমাজ। আর এসব করার জন্য দরকার হচ্ছে স্মার্ট শিক্ষা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নতুন শিক্ষাক্রম তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির যে বইগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো নতুন শিক্ষাক্রমের। নতুন শিক্ষাক্রম আমরা এমনভাবে তৈরি করেছি যাতে সবার পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এই যে আজকে বই উৎসব হচ্ছে যেখানে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। যেখানে বছরের প্রথম দিন বই উৎসব হয়। সেখানে কোটি কোটি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বিগত ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যে ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১ কপি। এটি পৃথিবীর যে কোনো জায়গার জন্য একটি অচিন্তনীয় ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যেটি প্রতি বছর আমরা করে যাচ্ছি। আর এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে পেরেছি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লা, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।