পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা গড়তে জমজমাট “জলবায়ু আড্ডা”
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনাসহ পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে দিনব্যাপী পালিত হয়েছে “গ্রিন অফিস ডে”।
এই আয়োজনের অংশ হিসেবে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে "কার্বন ফুটপ্রিন্ট রিডাকশন” প্রতিপাদ্য নিয়ে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজন করা হয় “জলবায়ু আড্ডা” ও পরিবেশ সচেতনতায় গম্ভীরা পরিবেশনসহ নানা অনুষ্ঠানমালা।
কার্বন পদচিহ্ন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনে একটি কার্বন-নিরপেক্ষ বিশ্বের দিকে অগ্রসর হওয়া এবং পরিবেশ রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা। অদূর ভবিষ্যতে ব্র্যাক একটি "কার্বন-নিরপেক্ষ" প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জলবায়ু আড্ডায় মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব এবং এই সমস্যার পেছনের কারণগুলো চিহ্নিত করার বিষয়গুলো নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার পদক্ষেপগুলো কতোটা বাস্তবাসম্মত এবং এর প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কী কী সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন বক্তারা। এ ছাড়া কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার জন্য এর বাইরে আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়গুলা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং ব্র্যাকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু আড্ডায় অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যোশনালের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো: লিয়াকত আলী।
জলবায়ু আড্ডায় জাতিসংঘ জলবায়ু বিষয়ক কনভেনশনে (কপ-২৭) বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, "এবারের কপ সম্মেলনে আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ শূণ্যস্থান নিয়ে কথা বলেছি। সেটা হলো, আস্থা, বিশ্বাসের অভাব। উন্নতবিশ্বের দেশগুলো যদি তাদের কথাগুলো না রাখে, তাহলে তো আমরা ভবিষ্যতের দিকে কোনোভাবেই এগিয়ে যেতে পারবো না। এমনকি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স বা জলবায়ু পরিবর্তন অর্থায়ন বলতে আমরা কি বুঝাই এটারও কোনও সংজ্ঞা নেই। উন্নত বিশ্ব বলছে গতবছর তারা আমাদের ৮০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। আমরা যদি অক্সফাম বা নিরপেক্ষ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বলি, এটা ২০ মিলিয়নও না। এইযে মৌলিক কিছু শূণ্যস্থান রয়ে গেছে, আমরা চেষ্টা করেছি এগুলো আগে আগে চিহ্নিত করতে।"