অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বর্ডার হাট বাংলাদেশ-ভারতের সুসম্পর্ক বাড়াবে: ভারতীয় হাইকমিশনার 

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৭ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার  

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বর্ডার হাটগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মাঝে আরও সুসম্পর্ক তৈরি হবে। এবং হাটগুলোকে আমরা আরও উন্নত করবো। তিনি বলেন, আজকে এখানে এসে সত্যি খুব ভালো লাগছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাগানবাড়ি এলাকার বর্ডার হাট পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন। 
 
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাগানবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনায় গত ১২ মে  চালু হয় বাগান বাড়ি রিংকু বর্ডার হাট।

দু’দেশের সীমান্তবর্তী ৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এখানে কেনাকাটা করেন। একজন ক্রেতা সর্বমোট ২০০ ডলারের সমপরিমাণ টাকার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এই হাটে দুই দেশের সীমান্ত এলাকার লোকজন কৃষি, খাদ্য, হস্তশিল্প পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচা করছে। সপ্তাহে একদিন বসা হাটটিতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার পণ্য বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন হাট কর্তৃপক্ষ।

সুনামগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা ইউনিয়নে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের বাগানবাড়ি ও ভারতের রিংকু এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার এই বর্ডার হাট বসে। 

বাংলাদেশের ২৬টি ও ভারতের ২৪টি মিলিয়ে হাটে ৫০টি দোকান রয়েছে এখানে। দোকানগুলোতে দুই দেশের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্য, পান, সুপারি, সবজি, ফল, নানা জাতের মসলা, কাপড়, জুতা, প্রসাধনসামগ্রী বিক্রি করা হয়।
 
সপ্তাহের একদিন বৃহস্পতিবার এই হাটে দুই দেশের ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎসাহী মানুষের ভিড় জমে। যা দুই দেশের মানুষের মধ্যে মিলন মেলায় পরিণত হয়। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় হাটটি যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

হাটে বসা ব্যবসায়ী ওমর আলী বলেন, হাটে দোকান নিয়ে বসলেও ভারতীয় ক্রেতারা কম আসেন। তার কারণ ওই দেশের বিএসএফ তাদের ঢুকতে দেয় না। ফলে বাংলাদেশের সবাই ঢুকে ভারতীয় পণ্য কেনে। অথচ বাংলাদেশের পণ্য বেশি চলে না। 

ব্যবসায়ী সাদেক আলী বলেন, আমরা হাটে আমাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে আসলেও বিক্রি করতে পারি না। কারণ ভারতীয় ক্রেতারা আসে না। আমরা চাই সরকার যেন এই দিকে দৃষ্টি দেন।

হাটে বসা ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ডার হাট চালু হওয়ায় আমরা খুশি। অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় ক্রেতারা বাজারে কম আসায় তারা বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে লাভের আশায় এসে লোকশান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

সপ্তাহে একদিন এই হাট থেকে ভারতীয় পণ্য কিনতে পারায় খুশি ক্রেতারা। তারা জানান, প্রতি বৃহস্পতিবারে এই হাটে আসি। ভারতীয় পণ্য কেনার জন্য কিন্তু আসি। এবং দুই দেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে এখান থেকে পণ্য কেনে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় বর্ডার হাটে পণ্য নিয়ে আসতে কিংবা ভারতীয় পণ্য কিনে নিয়ে যেতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বাগানবাড়ি রিংকু বর্ডার হাট পরিচলানা কমিটির সভাপতি মিলন খান বলেন, সপ্তাহে একদিন এই হাটে ১২ লাখ টাকার বিকিকিনি হয়। একজন ক্রেতা ২০০ ডলার পর্যন্ত এখানে মালামাল কিনতে পার। ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বর্ডার হাট পরিদর্শনকালে প্রশাসনের কর্মকরতারা উপস্থিত ছিলেন।