পোশাক রফতানিতে ভিয়েতনামকে টপকে ফের দ্বিতীয় বাংলাদেশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছিল ভিয়েতনাম। দুই-তিন বছরে ব্যবধানটি কাছাকাছি অবস্থানে এনেছিল দেশটি।
এরপর করোনার প্রকোপ শুরু হলে ২০২০ সালে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যায় ভিয়েতনাম। এক বছর অবস্থান ধরে থাকলেও ২০২১ সালে সেই অবস্থান হারাতে হয় দেশটিকে। বিশ্বজুড়ে মন্দার মধ্যেই আবারও ভিয়েতনামকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। বরাবরের মতো চীন সবার ওপরেই আছে।
বুধবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য পরিসংখ্যান পর্যালোচনা ২০২২- এ দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানিতে ভিয়েতনামের অংশ ২০২০ সালের ৬.৪০ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৫.৮০ শতাংশে নেমে এসেছে।
বৈশ্বিক আরএমজি বাজারে বাংলাদেশের অংশ ২০২০ সালে ৬.৩০ শতাংশ থেকে গত বছর ৬.৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই অনুপাত ২০১৯ সালে ৬.৮০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬.৪০ শতাংশ।
ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে আরএমজি রফতানি দৃঢ়ভাবে বেড়েছে এবং বার্ষিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।
২০২০ সালে এই রফতানি একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছিল এবং ভিয়েতনামের আরএমজি রফতানির ৭ শতাংশ বৃদ্ধির বিপরীতে বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
বৈশ্বিক পোশাক রফতানি বাজারে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৪.২০ শতাংশ, তখন ভিয়েতনামের অংশ ছিল ২.৯০ শতাংশ।
চীন ২০২০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রফতানির বাজারে দেশটির অংশ ৩১.৬০ শতাংশ থেকে গত বছরে ৩২.৮০ শতাংশে উন্নীত করে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে।
ডব্লিউটিও-র প্রকাশনা অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরএমজির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব রফতানিকারক। সুতরাং, প্রযুক্তিগতভাবে, বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম বিশ্ব আরএমজি রফতানিকারক দেশ এবং ভিয়েতনাম চতুর্থ।
ইইউ-এর সম্মিলিত রফতানি পরিসংখ্যান দেশভিত্তিক আলাদা করা হলে, বাংলাদেশ দ্বিতীয় এবং ভিয়েতনাম তৃতীয় শীর্ষ রফতানিকারক হবে।
তুরস্ক পঞ্চম এবং ভারত ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। তারপরেই রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং পাকিস্তান।
ডব্লিউটিও-র পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, শীর্ষ ১০ পোশাক রফতানিকারকের বার্ষিক মোট রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের ৩৭৮ বিলিয়ন থেকে একটি বড় উত্থান। এই মূল্য ২০১৯ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেকর্ড করা হয়েছিল।