এফএওর প্রতিবেদন
মাছ চাষে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
মাছ চাষে দুই ধাপ এগিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনেও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার-২০২২’ বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার টন। ২০২০ সালে তা ১২ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে, যা বিশ্বের মোট মাছ উৎপাদনের ১১ শতাংশ। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত ও চীন। ভারতে ১৮ লাখ টন ও চীনে ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন স্বাদুপানির মাছ উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের পরে রয়েছে মিয়ানমার, উগান্ডা ও ইন্দোনেশিয়া। তবে সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ২৫টি দেশের মধ্যে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে। এর আগের বছরের তুলনায় এক লাখ টন বেড়ে ২০২০ সালে দেশের সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার টন। সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে শীর্ষ তিনটি দেশ হচ্ছে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও পেরু।
এতে আরও বলা হয়, চাষের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির দিক থেকে আফ্রিকায় মিসর এবং এশিয়ায় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এসব দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদার ৫০ শতাংশের বেশি মাছ থেকে পূরণ হচ্ছে।
এফএও এবং ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ইফপ্রি) একাধিক প্রতিবেদনও বলছে, বাংলাদেশে পুকুরে মাছ চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।
ইফপ্রির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মাছ আসছে পুকুর থেকে। পুকুরে মাছ চাষের কারণে গত তিন দশকে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। মাছ চাষ ও ব্যবসায় যুক্ত প্রায় দুই কোটি মানুষ। ১৯৯০ সালে মানুষ বছরে মাথাপিছু সাড়ে সাত কেজি মাছ খেত। এখন সেটা ৩০ কেজিতে পৌঁছেছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চাষের মাছ উৎপাদনে ছয় বছর ধরে পঞ্চম অবস্থানে ছিল।