ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত তারল্য আছে: এবিবি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রোববার আপডেট: ০৯:০৭ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রোববার
দেশের ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) এর চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও এন্ড এমডি সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। কোন ধরনের তারল্য সংকট নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে যে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে-সে বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এবিবি’র চেয়ারম্যন বলেন, ‘আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, এই গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি-তারল্য নিয়ে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই। গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোন ঘাটতি নেই। উপরন্তু ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রিয় ব্যাংক কোন ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে এমন কোন নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোন ব্যাংকের কোন অসুবিধে হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোন সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার উপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক।
এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’