বগুড়ার চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ধুম
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫০ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২২ শনিবার
বগুড়ার চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ধুম পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খুব অল্প খরচে চিনা বাদাম চাষ হয়ে থাকে বগুড়ার চরাঞ্চলে। এই সময়টাতে বন্যার পানি নেমে যায়। চরাঞ্চলে পলি পড়েছে তাই বাদাম চাষের জন্য জমি এখন সম্পূর্ন উপযোগী। যমুনার চরের কৃষকদের মধ্যে এখন বাদাম চাষের ধুম পড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, চরাঞ্চলে বাদাম চাষ হয়ে থাকে। এতে উৎপাদন খরচ কম ও লাভ অনেক বেশি হয়। এতে সার প্রয়োজন হয় না এবং সেচ খরচ খুবই কম ।জমিতে নিড়ানী ছাড়াই বাদাম চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এখন চরাঞ্চলের মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতার পথ হিসেবে বাদাম চাষই প্রাধান্য পাচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা আরো জানান, জেলার তিনটি উপজেলায় রবি মৌসুমে বাদাম চাষ হয়ে থাকে। এবার জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলার চরাঞ্চলের ১৩শ‘ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হচ্ছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা, ধারা বর্ষা, বোহাইল, ছোনপচা, ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ীচরসহ দুই উপজেলার চরগুলোতে বাদাম চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
সারিয়াকান্দি উপজেলার ছোনপচা চরের কৃষক সামাদ মন্ডল জানান, খুব কম খরচেই বাদাম চাষ করা যায়। চাহিদাও বেশী, দামও বেশী। বাজারে নিতে হয় না, বিভিন্ন জেলা থেকে এসে জমি থেকেই কিনে নিয়ে যায়।
ধুনটের শহড়াবাড়ী চরের সোলইমান আলী জানান, বিঘা প্রতি প্রায় ৭মণ বাদাম উৎপাদন হয়। গত বছর জমি থেকে বিক্রি করেছি ৬ হাজার টাকা দরে।
একই চরে আবুল হোসেন, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাদাম বোনার কাজে ব্যস্ত। আবুল হোসেন জানান, ২০ শতক জমিতে বাদাম বুনেছি। আশা করছি ভাল দাম পাবো।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচলক এনামুল হক জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দী ,ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার চরে ১৩শ’ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ হাজার মেট্রিকটন। তিনি আরও জানান, কম খরচে অধিক লাভের জন্য দিন দিন বাদাম চাষ বাড়ছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আব্দুল হামিদ জানান, বেলে- দোয়াশ মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়। চরের মাটি বাদাম চাষ উপযোগী। তাই সারিয়াকান্দি এবং ধুনটের যমুনার চরাঞ্চলে বাদাম চাষ ভালো হয়।