দ্রুতগতিতে চলছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণ কাজ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২২ শনিবার
এবং এটা দেশের বৃহত্তম রেলসেতু হতে যাচ্ছে।
প্রকল্পটির পরিচালক প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান বলেন, রেলসেতুটির মোট ৫০টি পিলারের মধ্যে ১২টি পিলারের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।
সেতুটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানের সাহায্যে নির্মিত হচ্ছে- যার উপর দিয়ে ট্রেনগুলো ঘন্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার দ্রুত গতিতে চলতে পারবে।
১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ২০২৪ সাল নাগাদ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। রেলসেতুটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে এটি বঙ্গবন্ধু সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপ কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি ব্যয়ও হ্রাস করতে অবদান রাখবে।
প্রকৌশলী আল-ফাত্তাহ আরো বলেন, দেশের এই মেগাপ্রকল্পের ৪৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুটি উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়।
প্রকৌশলী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৫০টি পিলারের ওপর ডুয়েল-গেজ ও ডবল-ট্রাক নির্মিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল পয়েন্টের দুটি শেষ পয়েন্টের ওপর নির্মাণ কাজ চলছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু ব্রিজ পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশন ও ইয়ার্ডগুলো পুনঃসংস্কার ও পুনর্গঠন করা হবে।
সাইট চিফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক বলেন, লাইন ক্রসিংয়ের জন্য কোন ট্রেনকে অপেক্ষা করতে হবে না বিধায়, এই ডুয়েল-গেট ডবল-ট্রাক রেলসেতুটি অন্তত ২০ মিনিট সময় বাঁচাবে।
এখন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে মাত্র ৩৮টি ট্রেন আসা-যাওয়া করতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রেলসেতুটি চালু হলে- এখান দিয়ে প্রতিদিন ৬৮টি ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। এছাড়াও এই রেলসেতুর ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ও মালবাহী উভয় ট্রেন চলাচল করতে পারবে- যার ফলে দেশের রেলসেবার মান উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগও জোরদার হবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ট্রেন সেবার মান উন্নয়ন করবে। এছাড়াও এটি দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। রেলসেতুটি ভারত, নেপাল ও ভূটানের মতো প্রতিবেশী দেশের সাথে আমাদের দেশের যোগাযোগ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।