অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রকাশ্যে এল ইরানের সেই অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আসল চেহারা

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার  

ইরানের 'ভয়ংকর অ্যাঞ্জেলিনা' খ্যাত ফাতেমা খিশভান্দের আসল চেহারা সামনে এলো। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি সাহার তাবার নামে পরিচিত। ২১ বছর বয়সী ফাতেমা হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে মিল আছে—এমন মুখমণ্ডলে একটা ভূতুড়ে চেহারা প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে সাড়া ফেলেন।

১৪ মাস কারাভোগ শেষে একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন ফাতেমা। বছরের পর বছর ধোঁকা দেওয়া ফাতেমার আসল চেহারা দেখতে পেল বিশ্ব।

২০১৯-এর অক্টোবরে বেশ কিছু অভিযোগ এনে খিশভান্দেকে গ্রেপ্তার করে ইরান সরকার। এসব অভিযোগের মধ্যে ছিল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া, সহিংসতায় ইন্ধন জোগানো, ধর্মীয় পোশাক-পরিচ্ছদের অবমাননা এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দুর্নীতি উসকে দেওয়া।

বিচার শেষে ২০২০ সালে দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই বছর ডিসেম্বরে তিনি শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করলেও আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে গণআন্দোলনের মুখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।  

ফাতেমা খিশভান্দ তার বয়সী আর পাঁচটা তরুণীর মতোই বিখ্যাত হতে চেয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে নানা কায়দার সেলফি পোস্ট করে জনপ্রিয়তা পেতে চেয়েছিলেন। নিজের চেহারা বদলাতে প্রযুক্তি ও মেকআপের আশ্রয় নেন তিনি।

২০১৭ সালে প্রথম সেই ছবি প্রকাশ করেন তিনি। ছবিগুলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ছবিগুলোতে তার চেহারার সঙ্গে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ভীষণ মিল ছিল। তবে সেটা ছিল রুগণ আর ভূতুড়ে চেহারা। সে সময় খবর রটে যায় যে হলিউড অভিনেত্রীর মতো চেহারা করতে ৫০ বার অস্ত্রোপচার করিয়েছেন ফাতেমা খিশভান্দ।

ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকে। ইরানের কর্তৃপক্ষ খিশভান্দের পোস্টগুলোকে এক কিশোরীর ফটোশপ নিয়ে খেলা বা পরীক্ষা হিসেবে না দেখে বরং এটিকে একটা অপরাধ বলে গণ্য করে।

টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাতেমা জানান, আদতে তিনি কখনো ছুরি-কাঁচির নিচে যাননি।  

তিনি আরও বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বিখ্যাত হতে চেয়েছিলাম। তাই এ পথটি বেছে নিয়েছিলাম। নিজের আচরণের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।