আইসিটি খাতে বাংলাদেশ-ভারত একযোগে কাজ করবে: পলক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার আপডেট: ০৫:১৩ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, আগামী দিনে বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর ২০২০) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
এসময় জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রতিবেশি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো প্রসারিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে। এদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে পড়শী দেশটির বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ভারত সরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। আমি আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে এদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে।
একইসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনার দুই দেশের উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ এবং আইসিটিসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অদূর ভবিষ্যতে এদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে সকালে রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্মিতব্য স্থাপনাসমূহের মধ্যে রয়েছে ১২ জেলায় ৭ তলা (প্রতি তলা ১৫,০০০ বর্গফুট) মাল্টিটেনেন্ট ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার); ৩ তলা (প্রতি তলা ৭,০০০ বর্গফুট) ক্যান্টিন, এমপি থিয়েটর ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার) ও ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। আর ৮ জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৬,০০০ বর্গফুট) ডরমিটরি ভবন (আর সিসি স্ট্রাকচার)। এছাড়া, এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন হবে।
বাংলাদেশ-ভারত আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬টি স্থানে হাই-টেক পার্কের বিদ্যমান অবকাঠামোতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হবে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।