অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ভালোবাসার টানে নোয়াখালীতে মিসরের তরুণী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ১০:৩১ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার  

এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশের নোয়াখালীতে এসেছেন মিশরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। এই তরুণী নোয়াখালীর সেনবাগের গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে নোয়াখালীতে বাবুর সঙ্গে সংসার করছেন মিশরীয় এই তরুণী। 

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মিশরীয় তরুণী ডালিয়া সেনবাগের নবীপুরে আসেন। সারোয়ারের বাড়ি ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে। 

জানা যায়, তারা ২০২০ সালে মিশরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এবারই প্রথম বাংলাদেশি স্বামীর সঙ্গে শশুর বাড়ি আসেন ডালিয়া।

এ বিষয়ে গোলাম সারোয়ার জানান, তিনি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধ্যানে মিশর যান। সেখানে তিনি একটি গামেন্টেসে চাকরি করেন। মিশরী তরুণী ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতেন তিনি। ওই তরুণীর ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সরোয়ারের। এ সুবাধে মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল তার। এক সময় ডালিয়াকে তার ভালো লাগার বিষয়টি জানায় বাবু। ডালিয়ার সম্মতি দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

তিনি জানান, ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন-কানুন মেনে মিশরে ওই তরুণীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সরোয়ার। 

তাদের সংসার সম্পর্কে তিনি জানান, গত বছরে তাদের একটি বাচ্চা জন্ম নেয়। পরে সে মারা যায়। এরপর এবারই প্রথম দুজনের এক সঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা। বিদেশী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত।

মিশরী তরুণী ডালিয়া বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পচন্দ। তবে কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুর বাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।

বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।