অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে ভারতীয় ট্রানজিট কন্টেইনারবাহী জাহাজ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২ বুধবার  

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় থেকে আসা ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনারবাহী ‘ট্রান্স সামুদেরা’ নামের একটি জাহাজ আজ চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে। ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তির অধীনে পরীক্ষামূলক কার্গো চলাচলের অংশ। ২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় দুই প্রধানমন্ত্রী (বাংলাদেশ ও ভারত) পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল, এটি তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ।’ ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে টাটা স্টিল এবং সিজে ডার্কল লজিস্টিকস এই পরীক্ষামূলক কার্গো চলাচল পরিচালনা করছে।

ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের খরচ ও সময় দুটোই কমাবে। এতে বলা হয় যে এটি বাংলাদেশের বীমা, পরিবহন ও অর্থায়ন শিল্পের জন্য অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনবে। কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধুমাত্র স্থানীয় ট্রাক ব্যবহার করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। যথা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আগরতলা হয়ে আখাউড়া, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে ডাউকি হয়ে তামাবিল, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে সুতারকান্দি হয়ে শেওলা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে শ্রীমন্তপুর হয়ে বিবিরবাজার এবং এর বিপরীতে চারটি রুটে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি এসওপি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল সফলভাবে পরিচালিত হয়। তখন টিএমটি স্টিল ও ডালের দুটি করে মোট চারটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম হয়ে কলকাতা থেকে আইসিপি আগরতলায় সরবরাহ করা হয়।

ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, আজকের পরীক্ষামূলক চলাচলের মাধ্যমে এ চুক্তির অধীনে সকল অনুমোদিত রুটে সকল  পরীক্ষামূলক চলাচলের সমাপ্তি নির্দেশ করে। তবে পরীক্ষামূলক চলাচলের এই সমাপ্তির পরে, এই চুক্তির অধীনে পণ্য পরিচালনা এবং নিয়মিত চলাচলের জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থায়ী স্ট্যান্ডিং আদেশ বা প্রজ্ঞাপন জারি করবে।