চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত আরো ২৩ জন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ২৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ১৭ ও চার উপজেলার ৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং লোহাগাড়া ও বোয়ালখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩১৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৯৪ হাজার ২৮৬ জন শহরের ও ৩৫ হাজার ২৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবরেটরিতে। এখানে ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫ ও গ্রামের একজনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ জনের নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩০ নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একজন পজিটিভ হন। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১১ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২টিতে জীবাণু শনাক্ত হয়। এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তিন ল্যাবে ২৯ নমুনায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড, চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট করা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৪, চমেকহায় ৩১ দশমিক ২৫, সিভাসু’তে ৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ৩ দশমিক ২২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ।