চট্টগ্রামে তিনদিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা রোগি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২২ বুধবার
চট্টগ্রামে তিনদিনের মধ্যে সবনিম্ন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, নগরীর আট ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ১৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৫ জন ও উপজেলার ৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে আনোয়ারায় ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও সীতাকু-ে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৯ হাজার ২৪৬ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ২৩৫ জন ও গ্রামের ৩৫ হাজার ১১ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনার ৩১ জন নতুন আক্রান্ত ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৮ দশমিক ০২ শতাংশ। ৯ অক্টোবর বিগত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এদিন নতুন ৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলে। সংক্রমণ হার ২৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে গতকাল ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের ৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫ জনের নমুনায় শহরের ৭ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৭ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটি আক্রান্ত পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৫, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবে ৬৫ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ার ৪৬ দশমিক ৪৬, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৪ দশমিক ২৮ এবং বিআইটিআইডি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ। এন্টিজেন টেস্টে সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।