চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসে লাখো মুসল্লির ঢল
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার
করোনা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামে পর পর দুই বছর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) জশনে জুলুস। করোনা মহামারী থেকে মুক্তি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় হিজরি বর্ষ অনুযায়ী এবার জুলুসের ৫০তম আয়োজন হয়েছে চট্টগ্রামে। জশনে জুলুসে নবীপ্রেমী লাখো মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালত ইয়া রাসুলাল্লাহ, হামদ, নাতে রসুল ও দরুদ।
রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জশনে জুলুস শুরু হয়। আর ৫০তম জুলুসে নেতৃত্ব দেন গাউসে জামান হজরতুলহাজ আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.)। আর জশনে জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকে নবীপ্রেমী মানুষেরা জড়ো হতে থাকেন ষোলশহরের জামেয়া মাদ্রাসা মাঠ ও আশপাশের এলাকায়।
জুলুস শুরুর পর করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। জুলুসের রোডম্যাপের মোড়ে মোড়ে অপেক্ষা করেন স্বেচ্ছাসেবক ও হুজুর কেবলার ভক্তরা। জুলুসকে ঘিরে নগরীর মুরাদপুর, বিবিরহাট, মাদ্রাসা এলাকায় শত শত টুপি, মাস্ক, আতর, সুরমা, তসবিহ, পাঞ্জাবি, ইসলামি বই, এবং খাবার দোকান বসে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম.জি.আ)। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (ম.জি.আ)।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, জুলুসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) তিন হাজার, গাউসিয়া কমিটির নেতা-কর্মী ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র মিলে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেছেন। যথারীতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করেছেন।
জুলুস শেষে দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় মাহফিল। এরপর জোহরের নামাজ শেষে দোয়া ও আখেরি মোনাজাত করা হয়।