দেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: মোস্তাফা জব্বার
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ দেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির ৫১ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাড়ে আঠারো বছরে সকল বাধা অতিক্রম করে দেশে আজ শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের অশুভ তৎপরতা না থাকলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আরও বহুগুণ বেড়ে যেত।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানসহ তরুণ প্রজন্মকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এবং চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সফল করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধা, সন্তান ও প্রজন্মের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল ( অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট‘র মহাসচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমেদ সালু বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদর্শ এবং তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা বুঝতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় সিক্রেট ডকুমেন্টসহ বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এর প্রতিষ্ঠাতা বিষয়ে বিপুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।
‘বাঙালি জাতি দ্বিজাতিতত্ত্বে থাকলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না’ বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি থেকে এ কথা উল্লেখ করে সাাবেক ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি থেকে বাংলাদেশ গঠনের চিন্তা করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি ভাষার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি বলেন, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ নানা ধর্মের মানুষ যারা এই ভূখন্ডে বসবাস করে তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে কিন্তু ধর্মকে নিয়ে রাষ্ট্রস্বত্ত্বাকে বিভাজন করে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, একাত্তরের যুদ্ধে জাতির বিরুদ্ধে একটি অশুভ শক্তি কাজ করেছে। পঁচাত্তরের পর অশুভ শক্তি বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে পাকিস্তান বানানোর অপতৎপরতা চালিয়েছে। জাতির সৌভাগ্য শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী নানা নির্যাতন, দুর্ভোগ অতিক্রম করে যে লড়াই করেছেন, তার সে লড়াই ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনে পৌঁছে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ সাড়ে আঠার বছরের অর্জনকে অবর্ণনীয় হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আজ দেউলিয়া হওয়ার পথে আর বাংলাদেশ আজ মাথা উচু করে উন্নত জাতি হওয়ার পথে। ডিজিটাইজেসনের হাত ধরে বাংলাদেশ অতীতের শত শত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে শিল্প যুগে প্রবেশ করেছে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের চেয়েও ভাল করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মহাজোট‘র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল হক সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য কোটা বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল ( অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।