পাকিস্তানের দাপুটে জয়, পেছনে ফেলল বাংলাদেশ-ভারতকে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২২ রোববার
দুই দলের র্যাঙ্কিংয়ের ফারাকটা ১৭ ধাপের। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ২৫তম দল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৭-এ থাকা পাকিস্তান যে জিতবে, বিষয়টা অনুমিতই ছিল। মাঠের খেলায় সেটাই করে দেখিয়েছেন বিসমাহ মারুফরা। মালয়েশিয়াকে ৫৭ রানে রুখে দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেটের বিশাল জয়। ১১ ওভার বাকি থাকতে এসেছে এই জয়, ফলে নেট রান রেটের হিসেবেও নিজেদের ভালোভাবেই এগিয়ে রাখল পাকিস্তান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় মাঠে আজ সকালের খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। টস জিতেছিলেন অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ টু পেসড উইকেটে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণটা জানান মালয়েশিয়াকে।
শুরুর দুই ওভারেই দুই উইকেট খুইয়ে বসে মালয়েশিয়া। সেই যে দলটা পথ হারাল, সেই পথের দিশা খুঁজে পেল না আর। দলের হয়ে প্রথম দুই অঙ্কে পৌছানো ওয়ান জুলিয়া ফেরেন ইনিংসে অষ্টম ওভারে, দলের রান তখন মোটে ১৯। মালয়েশিয়ানদের হয়ে এরপরের নিঃসঙ্গ লড়াইটা চালিয়েছেন এলসা হান্টার। ৫১ বল খেলে করেছেন ২৯ রান, যার ফলে তার দল অন্তত অলআউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন ওমাইমা সোহেল, এছাড়া তুবা হাসান দুটো আর বোলিংয়ে শুরুর দুই সাফল্য এনে দেওয়া ডায়ানা বেগ আর সাদিয়া ইকবাল একটি করে উইকেট নিয়েছেন। তাতে মালয়েশিয়াকে স্রেফ ৫৭ রানে আটকে রাখে পাকিস্তান।
মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিদরাহ আমিনের দারুণ ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্তই হয় পাকিস্তানের। তার ২৩ বলে ৫ চারে ৩১ রানের ইনিংসটি পাওয়ারপ্লেতে পাকিস্তানকে এনে দেয় ৪৫ রান। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তিনি বিদায় নেন। যদিও বাকি ১৩ রান পেতে তেমন বেগই পেতে হয়নি তার দলকে। মুনিবা আলী (২১*) আর বিসমাহ মারুফের (৮*) কল্যাণে নির্বিঘ্নেই বাকি রানটা তাড়া করে ফেলে পাকিস্তান। তাতে ১১ ওভার হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় দলটি।
শুধু জয়ই পায়নি বিসমাহ মারুফের দল, নেট রান রেটেও বিশাল এক অর্জন ঝুলিতে পুরেছে দলটি। গতকাল বাংলাদেশ ১২তম ওভারে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ৩.৪৪৩ নেট রান রেট, আর ভারত শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারিয়ে অর্জন করে ২.০৫০ নেট রান রেট; তাতে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশই ছিল এশিয়া কাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আজ পাকিস্তান বিশাল জয় নিয়ে টপকে গেছে দুই দলকেই। বর্তমানে দলটির নেট রান রেট ৩.৯২৮। তাতে দলটা খানিকটা এগিয়েই গেল বৈকি! দীর্ঘ এশিয়া কাপে যে এটাও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বেশ!