জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার আপডেট: ০৬:৩১ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। এ অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হচ্ছে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্বে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগমীকাল ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবারের অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন। নিউইয়র্ক আসার আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৫-১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ যুক্তরাজ্য সফর করছেন। নিউইয়র্কের সফর শেষে তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস উইং জানায়, বর্তমানে বিশ্ব কোভিড মহামারিসহ একটি বহুমাত্রিক সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে। বহুমাত্রিক বৈশ্বিকসংকট মোকাবেলায় কার্যকর ও উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা একান্ত প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতে, এ বছর সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হিসেবে Watershed moment: Transformative Solutions to interlocking challenges শীর্ষক প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
করোনা মহামারি ও বিশ্বে চলমান বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও জ্বালানী সংকট তৈরি হয়েছে। জালানির মুল্য বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি হয়েছে। নতুন এ সংকটের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিকুলতার মুখোমুখি হতে হবে। এসকল কারণে, জাতিসংঘের এই সাধারণ অধিবেশনে করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকট এর পাশাপাশি খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বহুপাক্ষিকতাবাদ, টেকসই আবাসন, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল অবকাঠামো গঠনের বিষয়সমূহ আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গুরুত্বপূর্ণ এসব ইস্যুতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত অগ্রাধিকার বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।
উচ্চ পর্যায়ের সভাসমূহ
প্রতি বছরের মতো এবছরও সাধারণ বিতর্ক পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সভা (High Level Meeting অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উচ্চ পর্যায়ের সভাসমূহ হলো:
১) ‘Transforming Education Summit (TES)’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা। এই উচ্চ পর্যায়ের সভাটি ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘Transforming Education Summit এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, Digital Transformation শীর্ষক Spotlight Session এ অংশগ্রহণ এবং Leaders Roundtable এ সভাপতিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তোষ্টিক্রিয়ার অংশগ্রহণ করায় তিনি Transforming Education Summit (TES)’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি উক্ত সামিটে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করবেন।
২) Meeting of the Champions of the Global Crisis Response Group (GCRG)’ বিষয়্ক উচ্চ পর্যায়ের সভাটি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। উচ্চ পর্যায়ের এ গ্রুপে ছয় জন চ্যাম্পিয়নের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। ২২শে মার্চ ২০২২ তারিখে জাতিসংঘ মহাসচিব খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক বিষয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ছয়টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানগণের সমন্বয়ে এ গ্রুপটি গঠন করেন। উচ্চ পর্যায়ের এ সভায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী তার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করবেন। উক্ত বৈঠকে G-7, G-20 ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।
৩) ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে “Antimicrobial Resistance (AMR)” বিষয়্ক একটি উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় প্রধানমন্ত্রী কো-চেয়ার হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন । উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী Antimicrobial Resistance (AMR) বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা–এর উদ্যোগে গঠিত “One Health Global Leaders Group on Antimicrobial Resistance (AMR)”- শীর্ষক গ্রুপের সহ-সভাপতি। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা জীবাণুরোধক ঔষধের মাত্রাতিরিক্ত ও উদ্বেগজনক ব্যবহারের কারণে ব্যক্তি, প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহ এসকল ঔষধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। যার ফলে জনস্বাস্থ্য, সমাজ ও অর্থনীতির উপরসুদূরপ্রসারী বিরূপ প্রভাব পড়ে। বিশ্বব্যাপী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে সচেতনতা তৈরী ও এ সমস্যার টেকসই সমাধানই এই উচ্চ পর্যায়ের সভার মূল লক্ষ্য।
৪) ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখবেন। প্রতিবারের মত এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তৃতা দেবেন। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রযুক্তিখাত বিকাশে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই ইউক্রেন সংঘাত বিশ্বকে সামষ্টিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যে প্রতিকূলতার মুখামুখি হতে হবে সে বিষয়টি এবং সংকট মোকাবেলায় একতরফা জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ কিংবা নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সংকট সমাধানে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান এবং বহুপাক্ষিকতাবাদকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে গুরত্বারোপ করবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। করোনার মতো ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যসংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে টিকা এবং প্রতিষেধকের ন্যায্য ও আরও ন্যায়সঙ্গত বন্টনের জন্য আহ্বানপুনর্ব্যক্ত করতে পারেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উপায় খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানাতে পারেন। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রপন্থার বিষয়ে বাংলাদেশের 'জিরোটলারেন্স' নীতি, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ অভিবাসন অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জলবায়ুপরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তার বক্তব্যে উঠে আসবে।
৫) এবারের অধিবেশনে The Future of Digital Cooperation: Building resilience through safe, trusted and inclusive digital public infrastructure এবং High-level Roundtable on “Multilateralism and Food Security” বিষয়্ক আরো দুটি পৃথক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় উপযুক্ত প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সাইড ইভেন্ট সমূহ
৬) কোভিড-১৯ জনিত কারণে, এবার কোন সাইড ইভেন্ট জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হবে না। তবে, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং টেকসই আবাসন বিষয়ে পৃথক দুটি সাইড ইভেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্ট ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উক্ত সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিও ইউনিয়ন, ওআইসি সেক্রেটারিয়েট, কানাডা, সৌদি আরব, তুর্কি, গাম্বিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা বিষয়ক সাইড ইভেন্ট কো-স্পন্সর করবে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক সাইড ইভেন্টে রোহিঙ্গা বিষয়ে ব্রিফ করবেন।
৭) টেকসই আবাসন বিষয়ক সাইড ইভেন্টটি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ আবাসন সংস্থা যৌথভাবে সাইড ইভেন্টটি আয়োজন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই আবাসন বিষয়ক সাইড ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করবেন এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত আশ্রয়ন প্রকল্পের সফলতা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন্ ।
৮) সাইড ইভেন্ট দুটি আয়োজনের পাশাপাশি জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভেতরে পদ্মা বহুমুখী সেতু বিষয়ক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিকল্পে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিতি পদ্মাসেতু বিশ্ব সভায় একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব বিষয়ে বেশ কয়েকটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এসব সাইড ইভেন্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও অন্যান্য সভা
৯) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবারের ন্যায় বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। কসভোর প্রেসিডেন্ট, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, ক্যাম্বডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
১০) প্রতিবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আয়োজনে একটি গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। এই বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধার বিষয়সমূহ উপস্থাপনা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাংলাদেশের নিকট তুলে ধরবেন। এর মাধ্যমে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি সংযোগ তৈরি হবে। এছাড়া, প্রতি বছরের মত এবারও, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি রিসেপশন আয়োজন করবেন। এছাড়াও, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে তিনি একাধিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অংশগ্রহণ
১১) এবারের সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেবেন। এর মধ্যে ইউএস সেক্রেটারি অব স্টেট কর্তৃক আয়োজিত COVID-19 Global Action Plan (GAP) সভা যেটিতে বাংলাদেশ co-host, Sustainable Mountain Development বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সভা, OIC Contact Group on Rohingya এবং Annual Coordination Meeting, গ্রপ-৭৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক, Ministerial meeting of the Group of Friends of Mediation উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, নিরস্ত্রিকরণ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচিত হবে এবং সাধারণ পরিষদের সভাপতি ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে পারমাণবিক নিরস্ত্রিকরণে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ ও এই বিষয়ে বৈশ্বিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য International Day for the Total Elimination of Nuclear Weapons শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা আয়োজন করেছেন। মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ সভায় অংশ নেবেন। পাশাপাশি হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কসভোর উপ প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউএস এসিসস্টেন্ট সেক্রেটারি, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস কমিটির প্রেসিডেন্ট এর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে।
১২) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম High-level meeting for commemoration of the 13th anniversary of the adoption of the Declaration on the Rights of Persons Belonging to National or Ethnic, Religious and Linguistic Minorities এবং International Day for the Total Elimination of Nuclear Weapons শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা অংশ নেবেন। এছাড়া, তিনি দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করবেন।
এবারের জাতিসংঘের Priority ইস্যুগুলো প্রত্যকটি বাংলাদেশের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ইস্যগুলোর উপর যেসব ইভেন্ট আছে বাংলাদেশ তার সব কয়টিতেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক কূটনীতিকে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে মনে করে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কায©ক্রমসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে বাংলাদেশের নিবিড় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে অক্ষুন্ন থাকবে।
একটি শান্তিপূর্ণ ও মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাফল্য আজ সর্বজনবিদিত। এর ধারাবাহিকতায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এই অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের দৃপ্ত পদচারনাকে আরও সমুন্নত করবে।