বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য জোরদারে সচিব পর্যায়ের বৈঠক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) কার্যকর এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে দু’দেশের মধ্যে দুই দিনব্যাপী বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সোমবার বাসসকে বলেন,‘ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দু’দেশের পক্ষ থেকে পিটিএ কার্যকর করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ মূলত এখানে গুরুত্ব পাবে।’ তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত পিটিএ’র মধ্যে ভুটান আরও কিছু পণ্য অন্তর্ভূক্তি করতে চায়। একইসাথে তারা সোনারহাট স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার প্রস্তাব করেছে।
সচিব বলেন, পিটিএ কার্যকর করার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।এরই মধ্যে দু’দেশের কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ গত ১ জুলাই পিটিএ কার্যকর করার জন্য এসআরও জারি করেছে।এটি আমাদের বড় অর্জণ। এখন কেবল সেটি এগিয়ে নেওয়াই আমাদের প্রধানতম কাজ।
এছাড়া দু’দেশের মধ্যে সহজে পণ্য চলাচলের জন্য ট্রানজিট চুক্তি ও প্রটোকল এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এবারের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পিটিএ স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ প্রথম এবং একমাত্র অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ করেছে ভুটানের সঙ্গে।এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে আর ভূটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এবারের বৈঠকে ভুটান এই চুক্তির আওতায় আরও কিছু পণ্য অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করেছে।
ভূটান থেকে বাংলাদেশে সবজি ও ফলমূল, খনিজ দ্রব্য, নির্মাণ সামগ্রী, বোল্ডার পাথর, চুনাপাথর, কয়লা, পাল্প, রাসায়নিক আমদানি করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভূটানে তৈরি পোশাক, আসবাব, খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, প্লাস্টিক, বৈদ্যুতিক পণ্য রপ্তানি হয়।
এবারের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ভুটান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন সেদেশের ইকোনমিক এ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের সচিব ডাসো কারমা শেরিং।