ফাইনালের আগে পাকিস্তানকে হারালো শ্রীলঙ্কা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:১৯ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার আপডেট: ১২:১৯ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
একদিন পরেই এশিয়া কাপের ফাইনাল। রবিবার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। তার আগে পাকিস্তানকে হারিয়ে বার্তা দিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা। দুবাই স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কাকে ১২২ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বাজে হলেও ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচটার গুরুত্ব খুব একটা না থায় দুই দলের একাদশেই এসেছিল বেশ কয়েকটি পরিবর্তন। ফাইনালের আগে দলের সবাইকে পরখ করে দেখতে চেয়েছিল দুই দল।
চলতি আসরে দুবাই স্টেডিয়ামে যে দলই আগে বোলিং করেছে তারাই জিতেছে, শুধুমাত্র সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ম্যাচটা ছাড়া।
পাকিস্তানের দেয়া মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই হাসনাইনের বলে বিদায় নেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস (০)। পরের ওভারে ধানুস্কা গুনাথিলাকাকে শূন্য রানে ফেরান হারিস রৌফ।
পঞ্চম ওভারে দলীয় ২৯ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও (৯) বিদায় করেন হারিস। দলের ঘোর বিপাকে একপ্রান্ত আগলে রাখেন পাথুম নিশাঙ্কা। ভানুকা রাজাপাকসাকে নিয়ে ৫১ (৩৯) রানের জুটি বেঁধে দলকে নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। ভানুকা ২৪ (১৯) রান করে ফেরার পর ৩৩ রান যোগ করেন নিশাঙ্কা ও শানাকা।
তবে শানাকা থাকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। ২১ রান করে বিদায় নেন হাসনাইনের বলে। তবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নিশাঙ্কা। লঙ্কান এই ওপেনার অপরাজিত থেকেছেন ৫৫ (৪৮) রানে।
পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন হাসনাইন ও রৌফ। ১টি উইকেট নেন উসমান কাদির।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে গোটা কুড়ি ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তান। ১৯.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তোলে ১২১ রান।
দুই ওপেনারের জুটি ভাঙে স্কোর বোর্ডে ২৮ রান যোগ কর। মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৪ রান করে ফেরার পর ফখর আজম ফেরেন ১৩ রান করে।
গোটা আসরে রান খরায় থাকা বাবর আজম শুরুটা ভালো করলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। ২৯ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন করুনারত্নের বলে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর বাকি ব্যাটাররা হয়েছেন ব্যর্থ। মোহাম্মদ নওয়াজ করেন ১৮ বলে ২৬ রান। সবমিলে ১২১ রানে থামে পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩ উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২টি করে উইকেট নেন মাহেশ থেকশানা ও প্রমোদ মাদুশান। ১টি করে উইকেট নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও চামিকা করুনারত্নে।