কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে করলার বাম্পার ফলন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
জেলা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে জামতলা এলাকায় পাহাড়ের ঢাল এবং সমতল ভূমিতে চোখে পড়বে অসংখ্য করলার মাচা। এখানে ৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে চাষিরা করলা চাষ করছেন। লালমাই পাহাড়ের করলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছে চাষিরা।
কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে চলে আসেন নিমসার বাজারে এবং ক্রেতারা তাদের কাছ থেকে করলা ক্রয় করে মিনি ট্রাক যোগে সকাল ১০টার মধ্যেই রওয়ানা হয়ে যায় নিজ গন্তব্যে। বর্তমানে প্রতি মণ করলা হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন নিমসার বাজার হতে প্রায় ১শ’ থেকে ১৫০ টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। কুমিল্লার নিমসার বাজারে এসে ঢাকার কাওরান বাজারের কামরুল হাসান নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান যে, কুমিল্লার করলার গুণগত মান ভাল ও এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভাল হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে সরবরাহ করছেন।
লালমাইয়ের করলা চাষি মনির হোসেন বাসসকে বলেন, গত কয়েক বছর করলা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন তিনি।
লালমাই এলাকার কৃষক কুদ্দুস মিয়া বাসসকে বলেন, ১৫ বছর ধরে আমি সবজির চাষ করছি। আগেও করলা চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে। চলতি বছর ৩৬ শতক জমিতে করলা চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ জমি থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। পাইকারি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করছি, যা খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, সদর দক্ষিণের লালমাই পাহাড় এলাকার ৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে। যেখানে পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমির দোঁআশ মাটিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।
[বাসস]