অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দীর্ঘসময় ইয়ারফোন ব্যবহারে লোপ পেতে পারে শ্রবণশক্তি

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২০ শনিবার  

কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষকে ঘরে বসে অফিস করতে হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে অনলাইনে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে ইয়ারফোনের ব্যবহার। এই বিষয়টিই এখন কাল হয়ে দাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের কাছে কান ব্যাথা, জ্বালা ও ইনফেকশনে অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন অনেকে। 

মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সাত থেকে আট মাস ধরে অতিরিক্ত ইয়ারফোন ব্যবহারের কারণেই এই অভিযোগগুলো বাড়ছে। 

মুম্বাই জে জে হাসপাতালের নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের প্রধান ডা. শ্রিনিভাস চাহান বলেন, প্রতিটি অভিযোগ উচ্চমাত্রার ভলিউমে ইয়ারফোন ব্যবহারের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ জন করে এই ধরনের রোগী বাড়ছে বলেও জানান তিনি। 

ডা. শ্রিনিভাস বলেন, বাসায় যারা অফিস করেন বা যারা নিয়মিত বাসায় ক্লাস করেন তাদের অনেককেই দিনে আট ঘন্টা বা তার অধিক সময় কানে ইয়ারফোন ব্যবহার করতে হয়। যা কানে প্রচন্ড চাপ ফেলে এবং ইনফেকশন তৈরি করে। শুধু ইনফেকশন নয়, দীর্ঘ সময় উচ্চমাত্রার ভলিউমে ইয়ারফোন ব্যবহারে শ্রবনশক্তিও লোপ পাচ্ছে মানুষের। যদি মানুষ অভ্যাস পরিবর্তন না করে তবে কানে স্থায়ী ক্ষত হতে পারে বলে জানান তিনি।  

মানুষকে আরও একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে ড. চাহন বলেন, কানের অভ্যন্তরে থাকা খইলগুলো প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটিরিয়াকে মেরে ফেলে এবং সংক্রমণ রোধ করে। কান পরিষ্কার করার জন্য কটন বার্ড ব্যবহার এই প্রতিরক্ষামূলক খইলগুলো সরিয়ে দেয় এবং কানের অভ্যন্তরীণ অংশটিকে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের সুযোগ তৈরি হয়। আর কানে তখন তাজা বাতাস না গেলে ইনফেকশন হয়। 

কীভাবে এই ধরনের সংক্রমণ এড়ানো যায় তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা লোকজনকে যতটা সম্ভব ইয়ারফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ দীর্ঘ সময় ইয়ারফোন কানে থাকলে তাজা বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। 

এদিকে সেন্ট জর্জ হাসপাতালের (ইএনটি) বিভাগের প্রধান ডা. রাহুল কুলকার্নি বলেছেন, কানের সমস্যাগুলি কেবল পেশাদারদের সাথে সম্পর্কিত নয়, অনলাইনে ক্লাসে পড়াশুনা করা স্কুল শিশুদেরও সমানভাবে প্রযোজ্য। 

তিনি বলেন, স্কুলে পড়ুয়াদের মোটেও ইয়ারফোন ব্যবহার করা উচিত না। যদি তারা ল্যাপটপ বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ক্লাসে অংশ নেয় তবে ডিভাইসের সাউন্ডই যথেষ্ট। 

যদি স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ৬০ ডেসিবলেরও বেশি শব্দে হেডফোন ব্যবহার করে থাকে তবে এটি স্বাভাবিকভাবেই তাদের শ্রবণশক্তির উপর চাপ সৃষ্টি করবে বলেও জানান তিনি।