ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার তথ্য গুজব: শিক্ষামন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২২ শনিবার
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে তা সঠিক ন। এটি গুজব।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম পর্বত মানাসলু শৃঙ্গ অভিযানের পতাকা অর্পণ ও ‘ওরিয়ন ট্রেক উইথ নিশাত’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে একটি বিশেষ মহল ফায়দা লুটতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহল সরকার বিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আর কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে নতুন শিক্ষাক্রম অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার কথা। এটি একেবারেই সত্য নয়। আমরা ইতোমধ্যেই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে যতগুলো অপপ্রচার ছিল তা জনগণের সামনে তুলে ধরেছি।
নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার পরিধি আরও প্রসারিত হবে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে জ্ঞান দক্ষতা, মূল্যবোধ প্রসারিত করার জন্য কাজ করছি। সেখানে ধর্ম, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এগুলো একেবারেই অবিচ্ছেদ অংশ। এগুলো থাকছে। ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়ার প্রশ্নই আসে না। দক্ষতা, জ্ঞানকে যেভাবে প্রসারিত করা হচ্ছে সেখানে কোনো বিশেষ শিক্ষাকে সংকুচিত করার তথ্য একেবারেই সঠিক নয়।
দেশের তরুণ প্রজন্মকে সকল প্রতিকূলতা জয় করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলার পথে বাধা অনেক, সাহসের হাতছানিও অনেক। তাই তরুণদের তৈরি করতে হবে এবং সাহস নিয়ে তাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নারীরা সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ স্বপ্ন দেখায়, প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছন জাতিকে। আর নিশাতরা নারীদের সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। বাঙালি সাধারণ মেয়ে অথচ দুঃসাহসী কাজ করেন নিশাত।
ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের প্রথম পর্বত আরোহী নিশাতকে দেখলে মনে হয় বাঙালি সাধারণ মেয়ে। ঘর থেকে রেব হন না। পরিবারের মধ্যেই খুব সাধারণভাবেই জীবন কাটাচ্ছেন। অথচ দুঃসাহসী মানুষ। একের পর এক দুঃসাহসী অভিযান ও কাজ করেন। অনেককে উৎসাহিত করেন।
তিনি বলেন, নারীরা সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ স্বপ্ন দেখায়, প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছন জাতিকে। আর নিশাতরা সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নারীদের। যার ফলে এবার তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরেক মেধাবী ও দুঃসাহসী নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রজ্ঞা পারমিতা।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই তারা বাংলাদেশের পতাকা পর্বতে উড়াবে। সেই দুঃসাহসী অভিযানের গল্প ফিরে এসে তারা আমাদেরকে শোনাবে। বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম পর্বত মানাসলু শৃঙ্গ অভিযানে যাচ্ছেন। এই পর্বতের উচ্চতা ৮ হাজার ১৬৩ মিটার। হিমালয়ে অবস্থিত এ পর্বত আরোহণের স্বপ্ন পূরণে একের পর এক পর্বতপ্রেমিরা বিভিন্ন সময়ে মানাসলু আরোহণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এবার এই পর্বতাভিযানে যুক্ত করা হয়েছে নতুন মাত্রা। যেখানে নতুন ট্রেকার বা অভযাত্রী হিসেবে একজন তরুণীর যুক্ত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। যিনি ‘ওরিয়ন ট্রেক উইথ নিশাত’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে মানাসালু পর্বতের বেইজ ক্যাম্প পর্যন্ত ট্রেকিং করার সুযোগ পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে পতাকা গ্রহণ করেন নিশাত মজুমদার ও প্রজ্ঞা পার মিতা রায়। অভিযাত্রী ইনাম আল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন পারভীন মাহমুদ এফসিএ, ওরিয়ন গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আশফাকুল আলম।