প্রতারকের খপ্পরে শাওন, খোয়ালেন ৩২ হাজার টাকা
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওন প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। সম্প্রতি প্রতারণার শিকার হয়ে প্রায় ৩২ হাজার টাকা খুইয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী ও নির্মাতা।
জানা গেছে, শাওনকে ফোন করে এক প্রতারক নিজেকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার পরিচয় দিয়ে বলেন, নুহাশপল্লীর উন্নয়নবাবদ অস্ট্রেলিয়া থেকে বড় অংকের একটি ফান্ড এসেছে, যা বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবের মোবাইল নম্বরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
শাওন ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে অন্যপ্রান্ত থেকে নিজেকে উপ-সচিব পরিচয় দিয়ে ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য সরকারি ফি বাবদ ৩১ হাজার ৮৫০ টাকা দিতে বলেন। শাওন সরল বিশ্বাসে সেই টাকা দিয়ে দেন। এরপর থেকেই প্রতারকের নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। তখন প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।
পরে মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ এক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পায়। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. রবিউল ইসলাম (৪১)। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা চারটি সিমকার্ড জব্দ করে ডিবি।
বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবির অরগানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে প্রতারক রবিউল ইসলাম বিভিন্ন কৌশলে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে ওই নম্বরে কল করে নিজেকে বাংলাদেশের সরকারের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও সংসদ সদস্যদের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে কল করে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশি অনুদান এসেছে বলে জানান। এরপর অনুদান পেতে হলে সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স ও প্রসেসিং ফি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিতে বলেন। ফির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে নিয়ে পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন প্রতারক রবিউল। দীর্ঘদিন ধরে এসব উপায়ে সহজ-সরল মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রতারক রবিউল ইসলামের নামে আরও বেশ কয়েকটি মামলা চলমান। এ পর্যন্ত তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। আরও মামলা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রবিউলকে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।