আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২২ বুধবার আপডেট: ০৭:৪৩ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২২ বুধবার
১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ২৩ আগস্ট, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান সেলিম রহমান। এবং প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র সভাপতি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এক্সিকিউটিভ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, পরিচালক মোঃ লিয়াকত আলী চৌধুরী, মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং মোঃ আমির উদ্দিন পিপিএম ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। আলোচনা সভায় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ এবং প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ নির্বাহীগণ অংশগ্রহণ করেন। দেশব্যাপী ব্যাংকের ২০১টি শাখা এবং জোনাল অফিস সমূহ থেকেও ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ এতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
প্রধান আলোচক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সুদূরপ্রসারী এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের অধিাকারী। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করলেও মাত্র সাত মাসের মধ্যে ১৯৪৮ সালের মার্চে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হওয়া ছাড়া এদেশের মানুষের মুক্তি নেই। সেই থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এ দুটি নাম একে অন্যের পরিপূরক। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে বেচে আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও রেখে গেছেন তার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম। তার জীবন থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেলিম রহমান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে পৌছে দিয়েছেন।’
সভাপতির বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশের ৫০ বছরে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও সাহসী। তাঁর গভীর দেশপ্রেম, দৃঢ় মনোবল, শিকল ভাঙার শক্তি, সীমাহীন আত্মত্যাগ আর অতুলনীয় নেতৃত্ব দিয়েই অর্জিত স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে চিরঋণী।