অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এক কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২২ বুধবার  

ভর্তুকি দামে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির জন্য ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ হাজার মেট্রিকটন ডাল কেনার ৩টি প্রস্তাবসহ ১৬ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

বুধবার (১৭ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষ অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক।

অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে সরাসরি ৪০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে এ তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭৩ দশমিক ৯৫ টাকায় কেনা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য আরেকটি প্রস্তাবে ৮৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই লটে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭১ টাকায় কেনা হবে। সামসিং এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড থেকে ৩৫ লাখ লিটার এবং সিনো এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক আরও বলেন, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয় করা হবে। এর প্রতি কেজি দাম পড়বে ১১১ টাকা। নাবিল নওগাঁ ফুড লিমিটেড থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন, এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন এবং এমএস রায় ট্রেডার্স লিমিটেড থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন ডাল ক্রয় করা হবে।

আজকের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ১৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ১৬টি প্রস্তাবই অনুমোদন পেয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৭টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৪টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি ছিল।

ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে মোট ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে, সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৫৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এছাড়া দেশীয় ব্যাংক, এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে ১ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে।