বৈশ্বিক সঙ্কট থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে আশু পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:৪৫ এএম, ২০ নভেম্বর ২০২০ শুক্রবার আপডেট: ১০:২৪ এএম, ২০ নভেম্বর ২০২০ শুক্রবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা [ফাইল ছবি]
তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত সঙ্কট থেকে ধরিত্রীকে বাঁচাতে দ্রুত একটি ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে চলতি শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি বাড়তে পারে এবং এখনই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা না নিলে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবী পুরোপুরি অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে।’
ইউএনএফসিসিসি রেস টু জিরো ডায়ালগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে ‘নেট-জিরো লক্ষ্য পূরণে রূপান্তরকালীন নেতৃত্ব’ শীর্ষক সমাপনি অধিবেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র বিশ্বব্যাপী সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই আসন্ন সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব এবং পৃথিবীকে বাঁচানোর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় আগামীকাল নয়, আজ।’
জীবন ও মূল্যবান সম্পদ বাঁচাতে বিশ্ব নেতৃত্বকে অবশ্যই কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নীচের দিকের ১০০টি দেশ মাত্র ৩.৫ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন করে যেখানে জি-২০ দেশগুলো তিন চতুর্থাংশের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, আমরা এসব দেশগুলোর নেতৃত্বের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ আশা করি।
ধরিত্রী’র সাথে আমাদের সম্প্রীতি রক্ষায় ‘জলবায়ু সহসশীলতা দিবস’ নামে একটি আন্তর্জাতিক দিবসের নামকরণেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যারিস চুক্তির কঠোর বাস্তবায়নই একমাত্র উপায় এবং ‘লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির’ বিষয়টি অবশ্যই মূলধারাভুক্ত করতে হবে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের উচিত বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরে উঠতে না দেওয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর বাংলাদেশ দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি বারবার বন্যার কবলে পড়েছে, যা ফসল ও আবাসস্থলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবর্ং কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে মানুষের জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তিনি বলেন, এসব বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেই ঘটছে, যা প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো ৪৮ সদস্যের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হয়ে আমরা সম্মানিত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ‘গত মাসে সিভিএফের পক্ষে আমি প্রত্যেক দেশের প্রত্যেক নেতার প্রতি তাদের এনডিসিকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাত নাগাদ বাড়ানোর আহ্বান জানাতে ‘মিডনাইট সার্ভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট চালু করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ বছর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে, যিনি অনেক আগেই আমাদের জনগণের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকির বিষয়টি চিহ্নিত করে গেছেন।
তিনি বলেন, এসব হুমকি কাটিয়ে উঠতে এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, এবং এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে আমরা আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় একটি নতুন পথরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্পদ সংস্থানে সহায়তায় একটি জাতীয় ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করতে একটি কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।