সারাদেশে সপ্তাহে একদিন শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার
দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলার অংশ হিসেবে এবার সপ্তাহে এক দিন শিল্পকলকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সপ্তাহে এলাকাভিত্তিক এক দিন সারাদেশের সবধরনের শিল্পকলকারখানা বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪(২) ধারার ক্ষমতাবলে সারা দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য (প্রজ্ঞাপনের) ২নং কলামে বর্ণিত বারে জনস্বার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ধার্য করা হলো। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ধার্য করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে সারা দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন, বৈদ্যুতিক এলাকা এবং এলাকার নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ আগস্ট শিল্পকারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ওই বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী লোডশেডিং কমাতে সপ্তাহে এক দিন এলাকাভিত্তিক শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী সে দিন বলেছিলেন, সামনের মাস (সেপ্টেম্বর) থেকে আস্তে-আস্তে লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থা হবে। আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ অন্তত অর্ধেকের বেশি লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসবে। অক্টোবর থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
জ্বালানির সংকট মোকাবেলায় গত ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ১৯ জুলাই থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, দিনে এক-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং, ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ, সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প, রাত আটটার পর শপিং মল বন্ধ, সরকারি-বেসরকারি সভা হবে ভার্চুয়ালি এবং অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমানো।
ওইদিন বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী জানান, করোনার অভিঘাতের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন। এজন্য মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতির উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে।